পাবনা-১ আসনে নৌকা প্রতীক ও ট্রাক প্রতীকের কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে গণসংযোগকালে পাল্টাপাল্টির ধাওয়া মারপিট, গাড়ির গ্লাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে একটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, উভয় পক্ষের কর্মী–সমর্থক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ দুপুরে সাঁথিয়া উপজেলার সেলন্দা বাজারে নৌকা প্রতীকের ৫০–৬০ জন নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা নাগডেমড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আল মামুন সরদার ও ছাত্রলীগ সভাপতি ওলিউর রহমানের নেতৃত্বে গণসংযোগ, প্রচার প্রচারণা করছিল। এ সময় ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের অনুসারী বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেন, সাঁথিয়া উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার ও সাঁথিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মিরাজ হোসেনের নেতৃত্বে ৮–১০ হাইস গাড়ির বহর নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছিল।
নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকেরা সামনাসামনি চলে আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। উভয় পক্ষ লাঠি, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ট্রাক প্রতীকের অনুসারীদের তিনটি হাইসের গ্লাস ভাঙচুরসহ কয়েকটি গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটনায় নৌকা প্রতীকের অনুসারীরা।
তিনি বলেন, ‘তাদের হামলায় আমি নিজেসহ আকাশ রানা, মেহেদী হাসান, সোহান জাহান, কামরুজ্জামান, রাকিবসহ বেশ কয়েকজন আঘাতপ্রাপ্ত হয়।’
সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার মোবাইল ফোনে জানান, ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদের অনুসারীরা সেলন্দা বাজার এলাকায় গণসংযোগ, প্রচার–প্রচারণা আর ভোটারদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করছিলেন। এ সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামসুল হক টুকুর অনুসারী রুবেল, সোহান, আকাশ, শামীমসহ তাঁদের ক্যাডার বাহিনী এসে সাইয়িদ সাহেবের লোকজনের ওপর ওপর আক্রমণ চালায়।’
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, লোকমুখে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।