হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

ধুনটের শিমুলকান্দি এখন ‘লেবুর গ্রাম’

ইমদাদুল হক ইমরান, ধুনট (বগুড়া) 

গ্রামের ভেতর দিয়ে চলে গেছে আঁকাবাঁকা পিচঢালা সরু পথ। পথের দুই ধারে, কাছে-দূরে সবুজে ঘেরা সারি সারি বাড়ি। আর প্রায় প্রতিটা বাড়ির আঙিনায়ই রয়েছে লেবুর বাগান। বাগানজুড়ে সবুজের প্লাবন। নিবিড় সবুজ পাতার ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে সিডলেছ, কাগজি, এলাচি, কলম্বো ও দেশি জাতের লেবু। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়, গন্ধে জুড়ায় প্রাণও। 

লেবুতে বদলাবে দিন, ফিরবে সংসারের সচ্ছলতা। এই আশায় একজনের দেখাদেখি বাগান করেছেন আরও একজন। এভাবে বেড়েছে চাষ, বেড়েছে চাষি। একসময় এসব বাড়ির আঙিনায় চাষ হতো লাউ-কুমড়ো। সেসব স্থানে এখন বইছে লেবুর সুবাস। এভাবেই প্রায় ৪শ কৃষক পরিবারে ফিরেছে সচ্ছলতা। গ্রামটির নাম শিমুলকান্দি। 

বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের এই গ্রাম এখন পরিচিতি পেয়েছে ‘লেবুর গ্রাম’ হিসেবে। অনেকে আবার একে ‘ভিটামিন সি’র গ্রাম বলে ডাকেন। এই গ্রামে অন্তত দুই শতাধিক পরিবারের একাধিক লেবুর বাগান রয়েছে। দেখলে মনে হয়, এটি কোনো গ্রাম নয়, বিস্তীর্ণ এক লেবু বাগান। গ্রামটির বাতাসে ভেসে বেড়ায় লেবু ফুলের সুবাস। 

গ্রামের প্রায় ৪শ কৃষক পরিবারই নিজেদের বাড়ির আঙিনায় লাগিয়েছেন লেবুর গাছ। কৃষক ও কৃষাণীরা সারা বছরই বাগানে মাটি তোলা, চারা তৈরি, সার দেওয়া, লেবু তুলে বাজারে বিক্রি করার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। লেবু বিক্রির পাশাপাশি রয়েছে লেবুর চারার চাহিদাও। 

লেবুচাষি বাসার আল আসাদ বলেন, গ্রামজুড়ে সব ধরনের লেবুর চাষই হয়। জমি তৈরি করে লেবুর চারা লাগানোর পর গাছ বড় হলে উঁচু করে মাচা তৈরি করতে হয়। একবার চারা রোপণে ফলন দেয় ১০ থেকে ১২ বছর। রোগ বালাইয়ের প্রকোপ কম থাকায় বাড়তি খরচ নেই। 

আরেক লেবুচাষি জুয়েল রানা বলেন, বছরজুড়ে চাহিদা থাকায় লাভবান হচ্ছেন তারা। এক বিঘার একটি লেবুর বাগান থেকে বছরে গড়ে প্রায় ১ লাখ লেবু পাওয়া যায়। বাজারের দাম অনুযায়ী ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। অনেকে লেবু চাষের আয় দিয়ে ফিরিয়ে এনেছেন সংসারের সচ্ছলতা। 

লেবুচাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, তাঁদের চাষ করা লেবুর গন্ধটা ভালো, স্বাদটাও। এখানকার উৎপাদিত লেবু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি হয় দেশের অন্যান্য এলাকায়। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে লেবুর চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বেশ কয়েকজন কৃষক চারা তৈরি করেও বাড়তি আয় করছেন। 

শিমুলকান্দি গ্রামের ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী জানান, তিনি নিজেও লেবুর চাষ করেন। তাঁর দুইটা বাগান রয়েছে। এ গ্রামে প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে ছোট-বড় মিলে কমপক্ষে ২৫০টি লেবুর বাগান আছে। এ ছাড়া সব বাড়িতেই লেবু গাছ আছে। এই গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই লেবু চাষের আয় দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। 

ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, করোনার কারণে বাজারে লেবুর চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। এই গ্রামের মানুষ লেবু চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এখানকার লেবুর কদর রয়েছে সারা দেশে। লেবুচাষিরা চাইলে কৃষি বিভাগ থেকে তাঁদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। 

কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটিতে আওয়ামী লীগের কর্মী

বগুড়ায় ৬ জনকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

থমথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত, বিজিবি–বিএসএফের পতাকা বৈঠক

পাবিপ্রবির নতুন ট্রেজারার শামীম আহসান

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ

রুয়েটের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

বাঘায় বিএনপি নেতার বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

চাঁদাবাজি-দখলদারি বন্ধ না হলে যুদ্ধ চলবে: ডা. শফিকুর রহমান

বগুড়ায় পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি নওগাঁয় গ্রেপ্তার

জামায়াতের সম্মেলন উদ্বোধন করতে গিয়ে অঝোরে কাঁদলেন শহীদ সাকিবের বাবা

সেকশন