হোম > সারা দেশ > নাটোর

‘এক দিনেই ছেলেটার ওপর বড় মায়া পড়ে গেছে’

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

গমখেত থেকে উদ্ধার হওয়া এক দিনের নবজাতককে ছোটমণি নিবাসে পাঠানোর কথা শুনে ডুকরে কেঁদে ওঠেন মোছাম্মৎ মানজেরা খাতুন। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘এক দিনেই ছেলেটার ওপর বড় মায়া পড়ে গেছে।’ 

গতকাল শুক্রবার নাটোরের লালপুরে গমখেত থেকে উদ্ধার এক দিনের নবজাতককে রাজশাহীতে সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত ছোটমণি নিবাসে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত রাজশাহীর ছোটমণি নিবাসের উপ তত্ত্বাবধায়ক মো. মনিরুজ্জামান। 

এ সময় বাবুল হোসেনের স্ত্রী মোছাম্মৎ মানজেরা খাতুন কান্নাজড়ানো কণ্ঠে বলেন, সারা দিন তাঁদের পরিবারের সবাই শিশুটির যত্ন করেছেন। শিশুটিকে নিজের সন্তান হিসেবে মেনে নিয়েছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর শিশুটির নাম ‘মো. আব্দুল্লাহ তাওছিফ’ রেখেছেন তাঁরা। ওই নামই হাসপাতালের খাতায় তোলা হয়েছে। এখন ছোটমণি নিবাসে পাঠালে আইনগত জটিলতায় সন্তান হিসেবে তাকে দত্তক না পাওয়ার ভয় করছেন তাঁরা। 

ছোটমণি নিবাসের উপ তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ‘সাধারণত দত্তক প্রদানের বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। তত দিন শিশুটিকে তাঁরা লালন-পালন করবেন।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মোতালেব সরকার বলেন, স্থানীয়ভাবে আইনগত সব প্রক্রিয়া শেষে, নিয়ম অনুযায়ী উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে রাজশাহী ছোটমণি নিবাসে পাঠানো হয়েছে। 

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুরুজ্জামান শামীম বলেন, শিশুটিকে সুষ্ঠুভাবে ছোটমণি নিবাসে পাঠানোর জন্য একজন নার্স সঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দিনভর যত্ন নেওয়া উদ্ধারকারী দম্পতিকেও সঙ্গে পাঠানো হয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য অনেকে যোগাযোগ করেছেন। আইনগত জটিলতা এড়াতে তাকে ছোটমণি নিবাসে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা দত্তক প্রদানের সব পদক্ষেপ নেবেন। তবে শিশুটি উদ্ধার ও যত্ন নেওয়া পরিবারকে দত্তক প্রদানে অগ্রাধিকার দেওয়ার ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে। 

নবজাতককে ছোটমণি নিবাসে নেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার, হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুরুজ্জামান শামীম, লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মোতালেব সরকার প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের রামপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক মো. বাবুল হোসেন রামপাড়া-রাধাকান্তপুর রাস্তায় হাঁটতে বের হয়ে রাধাকান্তপুর হাকিম পীরের আস্তানার পাশে গমখেত থেকে শিশুর কান্না শুনতে পান। পরে তিনি শাড়িতে মোড়ানো অবস্থায় সদ্য প্রসব করা একটি ছেলেশিশু দেখতে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে তিনি বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। 

রাবিতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে: ডিনদের পদত্যাগ ইস্যুতে ছাত্রদল

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ

নিরাপত্তা শঙ্কায় রাবি শিক্ষকের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

ওসমান হাদি ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন: তারেক রহমান

রাবির ৬ ডিনের পদত্যাগ দাবি: ভিসি, প্রো-ভিসির দপ্তরে তালার পর সভা, সিদ্ধান্ত রাতে

শিশু সাজিদের পরিবারকে অনুদান দিল জামায়াত

বগুড়ায় ট্রাকচাপায় কলেজছাত্র নিহত

দুই ধান ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা ও কৃষকের তিনটি গরু চুরি

রাবিতে ৬ ডিনের চেম্বারে তালা, দায়িত্ব ছাড়তে রাজি হয়েছেন বলে জানালেন জিএস আম্মার

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের