বগুড়া প্রতিনিধি
প্রেমের ফাঁদ মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগে বৃষ্টি আখতার (২০) নামে এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার অপর অভিযুক্ত ওই তরুণীর স্বামী সিরাজুল ইসলাম সেতুকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের জন্য তারা প্রেমের ফাঁদ পেতেছিলেন বলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ও মিডিয়া মুখপাত্র শরাফত ইসলাম। গ্রেপ্তার হওয়া বৃষ্টি আখতার বগুড়া সদরের তেল ধাপ গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সেতুর স্ত্রী। গত রোববার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে শিবগঞ্জ থানা–পুলিশ। সেই সঙ্গে ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, সেখানে বৃষ্টি আগে থেকেই রবিনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। রবিন তাঁর বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ভাসুবিহার নরপতির ধাপে পৌঁছে বৃষ্টির সঙ্গে দেখা করেন। পরে তারা দুজনে নির্জন স্থানে বসে গল্প শুরু করেন। এই সুযোগে বৃষ্টি তাঁর স্বামীকে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দিয়ে তাঁদের অবস্থান জানিয়ে দেন। গল্প করার সময় আগে থেকেই নিয়ে আসা চেতনানাশক মেশানো কোমল পানীয় রবিনকে পান করান বৃষ্টি। কিছুক্ষণের মধ্যে রবিন অসুস্থবোধ করেন। এমন সময় বৃষ্টির স্বামী তাঁর এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে পৌঁছে নিরব এবং বৃষ্টিকে সেখানে বসে প্রেম করার অপরাধে চড় থাপ্পড় দিয়ে নিরবকে মোটরসাইকেলসহ তুলে নিয়ে যান। কিছু দুর গিয়ে ফাঁকা স্থানে নিরবকে মারপিট করে রাস্তায় ফেলে রেখে মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় সিরাজুল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম জানান, এ ঘটনায় গত রোববার ভুক্তভোগী রবিনের মা রোজিনা আখতার শিবগঞ্জ থানা-পুলিশকে জানালে পুলিশ অভিযান শুরু করে। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় পুলিশ বৃষ্টি আখতারের অবস্থান শনাক্ত করে এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় বৃষ্টির হেফাজত থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ বৃষ্টির দেওয়া তথ্যমতে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে।’
পুলিশ শরাফত কর্মকর্তা শরাফত ইসলাম জানান, বৃষ্টি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বৃষ্টির স্বামী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।