নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণকাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস জব্দ করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. আতাউর রহমান (৪৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি সিংড়া উপজেলার চকপুর গ্রামের রবিউল্লাহ প্রামাণিকের ছেলে।
আজ শনিবার রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানায় পুলিশ।
উদ্ধারের সময় মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ ধারালো অস্ত্র ও সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক মো. লুৎফুল হাবীব রুবেলের লিফলেট, স্টিকার, ক্যালেন্ডার সম্বলিত পোস্টার ছবি জব্দ করা হয়। মাইক্রোবাসটির মালিক রুবেল।
এর আগে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানাতে সাংবাদিকদের ডাকলেও কোনো কথা বলেননি পুলিশ কর্মকর্তারা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ভুক্তভোগী মো. দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধরের মামলায় সিংড়া থানার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আতাউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর গ্রেপ্তারকৃত আসামির দেওয়া তথ্য ও দেখানো মতে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত কালো রংয়ের একটি মাইক্রোবাস (রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-চ ৫৬-৫৩৯৫) আসামির বাড়ির গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়।
তল্লাশিকালে গাড়িটির ভেতর থেকে সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেলের অসংখ্য লিফলেট, স্টিকার লিফলেট, ক্যালেন্ডার সম্বলিত পোস্টার উদ্ধার করা হয় বলে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পুলিশ।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম আবু সাদাদ জানান, ‘বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।’
জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন অনলাইনে আবেদনের পর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে যান। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে আবারও বেধড়ক মারধর করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
পরে আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবার প্রতিপক্ষ প্রার্থী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব রুবেলকে ও তার সমর্থকদের দায়ি করে আসছেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার সুমন নামে এক আসামি আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ নিয়েই তিনিসহ অন্য আসামিরা দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধর করেছেন।