সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ২০০১ সালে পূর্ণিমা রানী শীল ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ শনিবার উল্লাপাড়া শহীদ মিনারে ভুক্তভোগী পরিবার ও পূর্বদেলুয়া গ্রামবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল সরকার, বড়হর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন সাবু, বড়হর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ফরমান আলী, হাফিজুর রহমান বাবলু প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে মামলাটি সাজানো হয়েছিল, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। এ মামলা তদন্ত শেষে সিআইডি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এই মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে। এ মিথ্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন হলো কারাগারে রয়েছেন। অবিলম্বে তাঁদের জামিনে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৮ অক্টোবর পূর্ণিমা রাণী শীল সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা অনিল চন্দ্র শীল ১৬ বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ১৭ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১১ সালের ৪ মে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৬ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আব্দুল জলিল (৪০), আলতাফ হোসেন (৩৫), আব্দুল মমিন (২৮), আলতাফ (২৮), জহুরুল ইসলাম (২৮), হোসেন আলী (২৮), লিটন মিয়া (২৮), ইয়াসিন আলী (৩৭), আব্দুর রউফ (৩০), আব্দুল মিয়া (২৮) ও বাবলু মিয়া (২৮)।