রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনের কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এর আগে গতকাল রোববার রাসিকের বর্তমান মেয়রের পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা তাঁর পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করার পর আজ তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন। আগামীকাল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আমি চতুর্থবারের মতো এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। এ জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করলাম। নগরবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা এখনো কিছু অপূর্ণ আছে। আমি সুযোগ পেলে আগামীতে তা পূর্ণ করতে চাই।’
লিটন আরও বলেন, ‘রাজশাহীতে শিল্প-কারখানা নেই। বাণিজ্যের অবস্থাও খারাপ। কীভাবে এটিকে এগিয়ে নেওয়া যায়, সেই ব্যাপারে আমি সক্রিয় থাকব। আমার নির্বাচনী ইশতেহারে ১ নম্বরে থাকবে কর্মসংস্থান। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা নিয়ে আমি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করব।’
জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামানের সন্তান এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবার রাসিকের মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করে তিনি আবারও মেয়র নির্বাচিত হন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এবারও তাঁর ওপরেই আস্থা রেখেছে।
এ ছাড়া রাসিক নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে মুরশিদ আলম ফারুকীকে মনোনয়ন দিয়েছে। তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে। আগে থেকে আলোচনায় না থাকলেও গতকাল জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তুলেছেন লতিফ আনোয়ার।
রাসিক নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ২৫ মে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১ জুন। ২ জুন বরাদ্দ করা হবে প্রতীক। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে প্রচার-প্রচারণা। ২১ জুন ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ।