রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় বরাবরের মতো এবারও কোটাপদ্ধতি বহাল রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে বিষয়টি জানার পর পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে অনশনে বসেছেন ৯ জন শিক্ষার্থী।
তাঁরা বলছেন, যে কোটার জন্য ছাত্র-জনতা জীবন দিলেন, একটি স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করা হলো, তারপরও কীভাবে ভর্তি পরীক্ষায় কোটাপদ্ধতি রাখা হয়?
বিশ্ববিদালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। পোষ্য কোটা ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। তবে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের কোটা বাতিল করা হয়েছে।
সমন্বয়ক আম্মার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা দাবি করেছিলাম, পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সর্বোচ্চ ১ শতাংশ কোটা রাখা যেতে পারে। তবে প্রশাসন এই অযৌক্তিক কোটাপদ্ধতি বহাল রেখেছে। আমরা প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে কোটা বাতিল না হলে আমরণ অনশন এবং বড় ধরনের আন্দোলনের ডাক দেব।’
এদিকে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে অনশনে বসেছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাঁদের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক মারুফ হাসান বলেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল কোটার বিরুদ্ধে। সেখানে যদি কোটাই থেকে যায়, তাহলে আমরা কিসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলাম।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘পোষ্য কোটা থাকুক, সেটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও চায় না। এটি বাদ দিতে আমরা চেষ্টাও করেছি। তবে এককভাবে এই বিষয়টি করা সম্ভব না। একাডেমিক কমিটির সদস্যদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্তগুলো হয়ে থাকে। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের বিরোধিতার কারণেই আমরা এটি বাদ দিতে পারিনি।’