বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে রেজাউল করিম পান্না (৬২) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক অধ্যাপক নিহত হয়েছেন। এ সময় জনতা সম্রাট মেন্দি খায়রুল (৪০) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বগুড়া শহরের থানা মোড়ে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে।
অধ্যাপক রেজাউল করিম পান্না গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আটককৃত সম্রাট মেনদী খায়রুল বগুড়া শহরের ফুলবাড়ী মধ্যপাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অধ্যাপক পান্না মোটরসাইকেলযোগে কবি নজরুল ইসলাম সড়ক হয়ে শহরের সাতমাথার দিকে যাচ্ছিলেন। ঈদ মার্কেটের কারণে থানা মোড়ে তিনি যানজটের কবলে পড়েন। এ সময় তাঁর ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তিনি মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর বুকে আঘাত করা হয়। পরে অধ্যাপক পান্নাকে পুলিশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ছুরিকাঘাতের পরপরই দুর্বৃত্তরা পালাতে গেলে ধারালো অস্ত্রসহ সম্রাট মেনদী খায়রুল নামে একজনকে আটক করে জনতা। পরে তাঁকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বগুড়া সদর ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘আটক সম্রাট এলাকার চিহ্নিত অপরাধী। কিছুদিন আগেও সে পুলিশের হাতে ছুরিসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। অধ্যাপক পান্নার ওপর হামলার পর আটক করে সম্রাটকে থানায় নেওয়ার পর সে দাবি করেছে, জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে সে এই হামলা চালায়। তবে নিহতের পরিবার থেকে বিরোধের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁর মরদেহ শজিমেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আজ শনিবার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।