সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নাইম হোসেন (২০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের এক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নাঈম ও তাঁর পরিবার পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে ওই স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে চিপস দেওয়ার নামে মনিরুল তাঁর বাড়িতে ডেকে নেন। এরপর ঘরে নিয়ে মুখে ওড়না বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে পালিয়ে যান নাইম। বিষয়টি মেয়েটির বাবা স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিককে জানান। পরে গতকাল শুক্রবার রাতে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন ইউপি সদস্য। একপর্যায়ে সমাধান না হলে তাঁরা সালিসে থেকে উঠে যায়। এদিকে ধর্ষণের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী কাজ করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বলেন, ‘নাইম হোসেন আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মুখে ওড়না বেঁধে ধর্ষণ করেছে। মেয়ের সঙ্গে আগেও খারাপ আচরণ করত সে। তবে এর আগে মান-সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলা হয়নি। এবারে যে কাজটা করেছে আমি এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, ‘বিষয়টি মেয়ের পরিবার আমাকে জানিয়েছে। তবে ধর্ষণের বিষয় আমি সমাধান করে দিতে চেয়েছি—এটা বানোয়াট। আমার প্রতিপক্ষ মিথ্যা ছড়িয়ে আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছে।’
অভিযুক্ত নাইম হোসেনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি মোবাইল ফোনেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) এনামুল হক বলেন, ‘আমরা এ রকম ঘটনা জানি না। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’