রাজশাহীর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেনের বাসায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে। পরে এই নেতাকে পুলিশ এসে উদ্ধার করে। নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রোববার (১৮ জুন) রাত ৯টার দিকে নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেনের বাসায় ঢোকেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন। তখন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা এসে তাঁকে সেখানে অবরুদ্ধ করেন। রাত ১২টার দিকে পুলিশ এসে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
উদ্ধারের আগে পর্যন্ত বাসাটি ঘিরে রেখেছিলেন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। যারা লিমনকে অবরুদ্ধ করেছিলেন তাঁদের দাবি, লিমনের সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। লিমনকে বাসায় অবরুদ্ধ করার সময় একটি ব্যাগ নিয়ে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা পালিয়ে গেছেন। নির্বাচন কর্মকর্তাকে ‘ম্যানেজ’ করতে তাঁরা এসেছিলেন বলে অভিযোগ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের।
লিমন যখন অবরুদ্ধ ছিলেন, তখন তাঁর বাবা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর ইকবালসহ পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরিবারের নারীরা চিৎকার করে কান্নাকাটি করছিলেন। মীর ইকবাল ভিড়ের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর ছেলে মীর ইমতিয়াজ বলছিলেন, ‘একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার গায়ে হাত তোলা হলো!’
তবে নির্বাচন কর্মকর্তার বাসা থেকে কী উদ্ধার করা হয়েছে তা জানা যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। পুলিশ নির্বাচন কর্মকর্তার বাসার সামনে অবস্থান করছে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল হোসেন তাঁর ওই ভাড়া বাড়িতেই অবস্থান করছেন।