Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

‘কেউ যাতে কথা বলতে না পারে সে জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’

রাবি প্রতিনিধি

‘কেউ যাতে কথা বলতে না পারে সে জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীনদের নোংরামি নিয়ে কেউ যাতে কথা বলতে না পারে সেই জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। বর্তমানে আবার সেটি বাতিল করে নাম রাখা হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইন। এ যেন নতুন বোতলে পুরাতন মদ। আমরা এই সমস্ত বিবর্তনমূলক আইনের সম্পূর্ণ বিনাশ চাই। সেই সঙ্গে দীর্ঘ এক বছর ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজার ওপর যে নির্যাতন চলছে তার অবসান চাই।’ 

আজ বুধবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। 

সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষক-শিক্ষার্থী’র ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচি থেকে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল ও অবিলম্বে খাদিজার মুক্তির দাবি জানানো হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌভিক রেজা বলেছেন, ‘এ সরকার চাচ্ছে আমরা সবাই যেন একটা আতঙ্কে থাকি। আমরা বলছি বটে যে সরকার দুর্বল হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বিষয়টি মোটেও তা নয়। বরং তারা দিন দিন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আর এই ক্ষমতা হচ্ছে কালো ক্ষমতা। এটি জনগণের ক্ষমতা নয়। এই ক্ষমতা তাদের পেশিশক্তি। সেই শক্তি দিয়েই তারা আজ দেশ শাসন করতে চাইছে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক আরও বলেন, ‘তবে আমরা এই শক্তির মুখোমুখি হতে পারি। আমরা এই শক্তিকে প্রতিবাদ জানাতে পারি। আমরা যদি আরও সংখ্যায় বেশি হই এবং এভাবে যদি প্রতিনিয়তই প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে যাই তাহলে এই রাষ্ট্র, এই সরকার একসময় থেমে যেতে বাধ্য হবে। সেই সঙ্গে আমাদের সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার দিতে বাধ্য হবে।’ 

আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, ‘এই আইনের শিকার হয়ে দুই বছর আগে মুসতাক নামে এক লেখককে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। খাদিজা মেয়েটি এক বছর ধরে জেলে থেকে তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তবুও এদেশের বিচার বিভাগ, তদন্ত কমিটি নামক বাহিনীর টনক নড়েনি। সারা দেশে এই কালো আইন দিয়ে একটা ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে এই নিকৃষ্ট সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল চাই। খাদিজাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুক্ত করে দিতে হবে।’ 

অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘এই সরকার কোনো সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। তারা অত্যন্ত ভীরু ও দুর্বল। যারা সমালোচনা করছে তাদের রুখতে রাষ্ট্রের সব যন্ত্র ব্যবহার করছেন। রাষ্ট্র টিকে থাকবে কিন্তু ক্ষমতা টিকে থাকবে না। আজকে সরকার ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। কয়েকদিন আগে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বেড়াতে গেছে। তাদের ধরে জেলখানায় নেওয়া হয়। এটা হতে পারে না। আপনি যে অত্যন্ত দুর্বল সেটি আপনি নিজেই প্রমাণ করছেন। একজন খাদিজা রাষ্ট্রের জন্য এতো বড় হুমকি হতে পারে না। আমরা অবিলম্বে খাদিজার মুক্তির দাবি জানাই।’

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সঞ্চালনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম সারোয়ার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদী হাসান, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি রায়হান আলী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান প্রমুখ।

আরও পড়ুন:

‘ঢাবি আধিপত্যের’ প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ

ইউএনওর কক্ষে জামায়াত নেতাদের মারধর, বিএনপির ৪ নেতাকে শোকজ

বার কাউন্সিলের পরীক্ষার ফি কমানোর দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের

পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হলো বিএনপি নেতার কৃষিযন্ত্র

প্রসবকালে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

ধামইরহাটে সরকারি জমির মাটি কাটায় জরিমানা

বগুড়ায় আ.লীগ নেতার বাড়িতে আগুন, নাশকতার অভিযোগ

রাজশাহীতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রাণ গেল কলেজছাত্রের

৭ মাস পর কলেজছাত্র আসিফের লাশ পেল পরিবার

জয়পুরহাটে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত