রানীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর আত্রাইয়ে একই রশিতে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের হয়েছে। পরে মামলার একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার গ্রেপ্তারকৃত ওই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে আত্রাই থানায় মামলা দায়ের করেন মৃত সাবিনার বাবা সামছুর আলী। ওই দিন সকালে নিজ বাড়িতে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি হলেন নিহতের প্রতিবেশী রেখা বেগম (২৮)। তিনি একই গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন আত্রাই উপজেলার জামগ্রাম বাঁধপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আরিফুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা বিবি (৩২) ও মেয়ে আফরুজা খাতুন (৯)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ছাগলে গাছ খাওয়া নিয়ে প্রতিবেশী আবুল হোসেনের স্ত্রী রেখা বেগমের সঙ্গে সাবিনার ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সাবিনাকে বেদম মারধর করেন রেখা ও তাঁর শাশুড়ি। পরে তাঁকে আহত অবস্থায় আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা সমাধান করতে সাবিনাকে হাসপাতাল থেকে শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে আনা হয়।
রাতে স্থানীয় মেম্বার রুহুল আমিনের নেতৃত্বে বৈঠক বসে। বৈঠকে ঘটনাটি হাত ধরে ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে সমাধান করা হয়। কিন্তু সাবিনা মীমাংসা না মেনে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় রেখা বেগম ও তাঁর লোকজন সাবিনাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং আত্মহত্যার প্ররোচিত করেন।
নিহত সাবিনার বাবা সামছুর আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার জামাই আরিফুল বাড়ি থেকে যাওয়ার পর আবারও প্রতিবেশী রেখা আমার মেয়ে সাবিনাকে নানাভাবে মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায্য বিচার চাই।’
এ বিষয়ে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মা-মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে তিনজনের নাম উল্লেখসহ কয়েকজন অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেছেন সাবিনার বাবা। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রেখা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত করা হচ্ছে।’