কৃষিসমৃদ্ধ জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা। এই উপজেলার আলুর সুনাম দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। এ বছর কৃষকেরা ব্যবসায়ীদের আলু না দিয়ে উপজেলার মান্নান অ্যান্ড সন্স নামের একটি হিমাগারে রাখেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের নানা অবহেলায় আলু পচে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হিমাগারের সামনের সাইটের গেটের বাইরে প্রচুর পরিমাণে পচা আলু ফেলে রাখা হয়েছে। কৃষকেরা অভিযোগ করেন, ৯ হাজার ১০০ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মান্নান হিমাগারে চলতি মৌসুমে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক (২ লাখ ৫০ হাজার মণ) টন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে; যা প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯০০ বস্তা। কিন্তু ধারণক্ষমতার বেশি আলু রাখা, সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে নির্দিষ্ট মানের তাপমাত্রা না রাখা ও খরচ বাঁচানোর জন্য বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করে দেওয়াসহ হিমাগার কর্তৃপক্ষের নানা অবহেলার কারণে আলু নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার উদয়পুরের আলুচাষি আব্দুল জালাল, আব্দুস সালাম ও জহুরুল ইসলাম জানান, হিমাগারে তাঁদের প্রায় ১ হাজার ২০০ বস্তা (প্রায় সাড়ে ৭২ মেট্রিক টন) রুমানা ও গ্রানুলা জাতের বড় ও বীজ আলু সংরক্ষণের জন্য জমা রাখা হয়েছে।আলু পচে গেছে বলে কিছুদিন আগে তাঁদের খবর দেওয়া হয়। হিমাগার থেকে ওই আলু বের করার পর দেখা যায়, সেগুলো পচে গেছে। কিন্তু আলুর টাকা হিমাগার কর্তৃপক্ষ দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের মধ্যে এই আলুর হিমাগার। এলাকার কৃষকেরা সবাই বলছেন, প্রচুর আলু নষ্ট হয়ে গেছে এবং বিষয়টি আমি নিজেও জানি। তিনি কোম্পানির কাছে কৃষকের আলুর ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।
মান্নান অ্যান্ড সন্স হিমাগারের ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কেউ যদি খারাপ মানের আলু রাখে তাহলে সেটা ভেতরে ভালো হবে না। স্টোরের ভেতরে একটু একটু পচা হতেই পারে। তিনি আরও বলেন, পেপারিং করেন।