বগুড়ার শাজাহানপুর থানায় হামলাসহ একাধিক অভিযোগে করা মামলায় উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নুরুজ্জামান নুরুসহ তাঁর ৯ সহযোগীকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মনিরুজ্জামান তাঁদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুটি মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে তিন দিন করে দুই মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানিকালে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করা হয়।
শাজাহানপুর থানায় হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং পরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হওয়া বিদেশি পিস্তল ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় আরেকটি মামলায় আজ আদালতে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য ছিল।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরু, তাঁর সহযোগী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সাইদুর রহমান খোকন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী সাদ্দাম হোসেন রবিন, রমজান আলী, বোরহান উদ্দিন, সেরাজুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মিতুল ও ওহাবুজ্জামান।
উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল রাতে শাজাহানপুর থানা-পুলিশ চাকুসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিঠুন মিয়াকে আটক করে। রাত ১০টার দিকে নুরুজ্জামান নুরুর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা শাজাহানপুর থানায় হামলা করে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের মারধর করে মিঠুনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। আসামি ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে তাঁরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। সেখান থেকেও পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়া হয়। থানায় হামলা ও মহাসড়কে ইটপাটকেল নিক্ষেপে পুলিশের আটজন সদস্য আহত হন।
এদিকে নুরুজ্জামান নুরু গ্রেপ্তারের পর এক বিজ্ঞপ্তিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে তাঁকে শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়।