বগুড়ায় ডিবি পুলিশ হেফাজতে হাবিবুর রহমান হাবিব (৩৬) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি আইনজীবীর সহকারী (মুহুরি) হিসেবে কাজ করতেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বগুড়া জেলা জজ ও দায়রা জজ আদালতের সামনে থেকে ডিবি পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে ডিবি হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ পাহারায় বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসাপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান। হাবিবকে হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আটক করা হয়।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান বলেন, ‘শাজাহানপুর থানার একটি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁকে আটক করা হয়। ডিবি হেফাজতে থাকা অবস্থায় হাবিব বুকে ব্যথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসাপাতালে ভর্তি করার পর তিনি মারা যান।’
হাবিবুর রহমান হাবিব শাজাহানপুর উপজেলার জোড়া দামার পাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস বাবলুর ছেলে। তিনি বগুড়া জেলা জজ আদালতে সিনিয়র আইনজীবী মঞ্জুরুল হকের ভাগিনা এবং তার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
আইনজীবী মঞ্জুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আমি আদালত থেকে বের হয়ে যাই। এরপর হাবিবকে ফোন করে মামলার নথিপত্র নিয়ে যেতে বলি। ১৫ মিনিট পর জানতে পারি একটি মাইক্রোবাসে অপেক্ষারত ডিবি পুলিশের দল আদালতের সামনে রাস্তা থেকে হাবিবকে তুলে নিয়ে গেছে। রাত ৯ টার দিকে লোকমুখে হাবিবের মৃত্যুসংবাদ পাই।’
মোহাম্মদ আলী হাসাপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, ‘ডিবি পুলিশ হাবিবকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে ভর্তির পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাবিব মারা যান। তবে মৃতদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।’
বগুড়ার শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২ আগস্ট শাজাহানপুর থানার জোড়া গ্রামের খুকি বেওয়া (৮০) নিখোঁজ হন। ৪ আগস্ট গ্রামের একটি পুকুরে তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় লাশের দুই পা বিচ্ছিন্ন করা হলেও লাশ উদ্ধারের সময় একটি পা পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে একই গ্রামের মুন্না বেওয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে খুকি বেওয়ার বিচ্ছিন্ন একটি পা উদ্ধার করা হয়। খুকী বেওয়া হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলাটি তদন্ত করছেন শাজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন। ডিবি পুলিশ ওই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটকের পর হাসপাতালে মারা গেছে বলে শুনেছি।’