ছাত্রাবাস থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থীর নাম সিফাতুল্লাহ সিফাত। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী মেহেরচণ্ডী এলাকার তুহিন ছাত্রাবাসে থাকতেন।
ছাত্রাবাসে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থার তাঁর লাশ ঝুলছিল। খবর পেয়ে চন্দ্রিমা থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার সহপাঠী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, সে বেশ কিছুদিন ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিল। এ ছাড়া সম্প্রতি তার মা মারা গিয়েছেন। হতাশা থেকেই আত্মহত্যা করেছেন বলে আমরা ধারণা করছি।’
একই ছাত্রাবাসে থাকা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সিফাত ও অন্য একজন শিক্ষার্থী ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে থাকতেন। বিকেলের দিকে সিফাতের রুমমেট বাইরে যান। সন্ধ্যায় ছাত্রাবাসে ফিরে তিনি কক্ষের দরজা বন্ধ পান। অনেক ডাকাডাকি করেও দরজা খোলেননি। একপর্যায়ে জোরে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঝুলন্ত লাশ দেখা যায়।
সিফাতের সহপাঠী হাসিব চৌধুরী বলেন, ‘সিফাত কিছুদিন ধরে বিষণ্নতায় ভুগছিল। কিন্তু আমাদের কারও সঙ্গে এ বিষয়ে কিছু শেয়ার করেনি। সে খুবই ভালো একটি ছেলে। নিয়মিত ধর্মচর্চা করত।’
রাজশাহী নগরের চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনো বলা যাচ্ছে না।
ওসি জানান, পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।