নাটোরের সিংড়ায় অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে এক প্রবাসীর স্ত্রী (২৮) ও এক যুবককে (৩২) আটক করে এলাকাবাসী। পরে তাদের নিয়ে সালিস বৈঠকে ওই নারীকে ১০০ বেত্রাঘাত ও জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘোরানো হয়। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগীর দায়ের করা সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত ও নির্যাতন মামলায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন সময়ে উপজেলার পূর্ব ভেংড়ী গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—একই গ্রামের আব্দুল জলিলের আব্দুল হামিদ (৪১), কফিল উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম (২২), শাজাহান আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (২৮) ও খান মোহাম্মদের ছেলে মো. ইব্রাহীম (২৪)।
সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে উপজেলার পূর্ব ভেংড়ী গ্রামে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে এক যুবকসহ এক প্রবাসীর স্ত্রীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে এলাকার কয়েকজন। স্বামী বিদেশে থাকায় দুই সন্তান নিয়ে একাই বসবাস করতেন ওই গৃহবধূ। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গ্রাম্য সালিস বসানো হয়। সেখানে বিচারকের ভূমিকায় উপস্থিত হন গ্রামের বেশ কয়েকজন। পরে তারা প্রবাসীর স্ত্রীকে ১০০ বেত্রাঘাত ও জুতার মালা পড়িয়ে সারা গ্রাম ঘোরানোর রায় দেন। তার সঙ্গে আটক যুবককে ১০০ বেত্রাঘাত ও এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে প্রবাসীর স্ত্রীকে জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘোরানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে। রাতেই ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ নির্যাতন ও সামাজিকভাবে হেনস্তার অভিযোগ এনে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।