নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
ধানখেতে কাজ করার সময় একটি সাপ ছোবল দিয়েছিল এক কৃষককে। তিনি আতঙ্কিত না হয়ে সাপটি ধরে পিটিয়ে মারেন এবং তা নিয়েই চলে যান হাসপাতালে।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ঘটনা এটি। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই কৃষকের নাম হেফজুল আলী (৪৫)। তিনি চারঘাট উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের জসিম প্রামাণিকের ছেলে।
আজ সকালে ধানখেতে কাজের সময় কৃষক হেফজুলের গালে সাপ ছোবল দেয়। সাপটিকে মেরে ফেলার পর হেফজুল প্রথমে গিয়েছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখান থেকে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বেলা ১১টার দিকে তিনি একটি মৃত সাপ নিয়ে রামেক হাসপাতালে যান। তখনো তিনি মৃত সাপের লেজ ধরে ঝুলিয়ে ধরে ছিলেন।
হাসপাতালে আসার পর তিনি নিজেই কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে ভর্তি হন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। আর তাঁর এ কাণ্ড দেখে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অনেকে এ সময় হেফজুলের দিকে অবাকদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন।
আহত কৃষক হেফজুল জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে ধানখেতে কাজ করার সময় একটি বিষধর সাপ তাঁকে ছোবল দেয়। এ সময় তিনি আতঙ্কিত না হয়ে নিজেই সাপটি পিটিয়ে মেরে ফেলেন। পরে সাপসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। কিন্তু সেখান থেকে চিকিৎসকেরা তাঁকে রাজশাহী মেডিকেলে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তিনি রামেক হাসপাতালে এসে ভর্তি হন। তাঁর ধারণা, চিকিৎসকেরা সাপ দেখলে দ্রুত সঠিক ওষুধ (এন্টিভেনম) দিতে পারবেন। তাতে তাঁর সঠিক চিকিৎসা হবে এমন আশায় সাপটি সঙ্গে নিয়ে এসেছেন।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা হেফজুলকে জানিয়েছেন, তাঁর অবস্থা বর্তমানে ভালো। অনেকে সাপে দংশনের পর কবিরাজ কিংবা ওঝার কাছে যান। তিনি সেটি না করে হাসপাতালে চলে এসেছেন। এটি তাঁর সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।