তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। আজ সোমবার উপজেলার চকরতিরাম শালতলা আদিবাসীপাড়া থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—চকরতিরাম শালতলা আদিবাসীপাড়া গ্রামের বাজুন মারর্ডীর ছেলে স্যামুয়েল মার্ডী (২৫), কিলিশ মূর্মূর ছেলে রুবেল মুর্মু (২১) ও নরেশ হাঁসদার ছেলে শিবেন হাঁসদা (২২)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভুগি মেয়েটি কয়েক দিন আগে তাঁর দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের বাসায় যায় আলু তোলার কাজে। পরে কাজ করার সুবাদে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং গত শনিবার (২৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যায়।
যখন সে প্রেমিকের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল তখন স্যামুয়েল এবং বাজুন মার্ডি তাঁদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে তার প্রেমিক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্যামুয়েল ও বাজুন জোরপূর্বক মেয়েটিকে পাশের মাঠে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতা মেয়ের চিৎকার শুনে শিবেন নামে আরেক যুবক ঘটনাস্থলে হাজির হয় এবং সংঘবদ্ধ ধর্ষণে সেও অংশ নেয়।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর অধীনে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী (২০) থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
ওসি আব্দুর রহিম আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে এবং মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।