পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার সুজানগরে উপজেলা নির্বাচনের পর ছয়টি ইউনিয়নে ৫০টির বেশি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার রাত থেকে গত বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যে পাঁচটি মামলা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার সুজানগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অভিযোগ, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাত থেকেই পরাজিত প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালায় বিজয়ী আব্দুল ওহাবের সমর্থকেরা। এ সময় বাড়ির সদস্যদের মারধর করে লুটপাট চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
পরাজিত প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহিন বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরই একের পর হামলা ও ভাঙচুর চালানো হচ্ছে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘরে। বিজয়ী চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবের নির্দেশেই এ হামলা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তাঁরা দুজন একই দলের নেতা। সুতরাং এমন হামলা কাম্য নয়। তবে নির্বাচন নিয়ে তাঁর কোনো অভিযোগ নেই। এই হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় সঠিক তদন্ত ও জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। ইতিমধ্যে এসব ঘটনায় পাঁচটি মামলা করা হয়েছে এবং ১৬ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। যেহেতু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, সে জন্য এখন কেউ বিশৃঙ্খলা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’