শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেরপুর উপজেলায় ১৬ মাস বয়সী সন্তানকে ডোবায় ছুড়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার ভোরে ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে বাবা জাকির হোসেনকে (৪৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওই উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের উঁচুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জাকির হোসেন উঁচুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। নিহত শিশুর নাম মোছা. হুমায়রা খাতুন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে শেরপুর থানার এসআই সাচ্চু বিশ্বাস জানান, পারিবারিক কলহের জেরে নিজের মেয়েকে হত্যা করেছেন জাকির। সোমবার দিবাগত রাতে মেয়েটিকে ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানা থেকে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশে ডোবায় ছুড়ে ফেলে দেন জাকির। এরপর নিজ ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে তাঁর স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের ঘুম ভেঙে গেলে পাশে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এ সময় স্বামী জাকিরের আচরণে রাবেয়ার সন্দেহ হয়। তিনি বুঝতে পারেন জাকিরই কিছু একটা করেছেন।
এসআই আরও জানান, রাবেয়া মেয়ে হুমায়রাকে খুঁজে না পেয়ে অবশেষে আশপাশে থাকা স্বজনদের ডাক দেন। পরে তাঁরা সবাই মিলে জাকিরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। সবার চাপে পড়ে মঙ্গলবার ভোরে মেয়েকে ডোবায় ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন জাকির। এর পরই পরই ডোবা থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ হেফাজতে নিয়ে জাকিরকে আটক করা হয়।
সাচ্চু বলেন, ‘জাকির তাঁর মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু কেন তিনি এ ধরনের ঘটনা ঘটালেন, এ বিষয়ে কিছু বলছেন না। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী রাবেয়া খাতুনও বলতে পারছেন না, জাকির কী কারণে নিজের মেয়েকে হত্যা করলেন। তবে তাঁদের পারিবারিক কলহ আছে। এর জেরেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।’
হত্যার অভিযোগ ওঠার পর জাকিরকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিশুটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এসআই সাচ্চু বিশ্বাস।