Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

আশুলিয়া থেকে ঈশ্বরদী গিয়ে ধর্ষণের শিকার ২ তরুণী, গ্রেপ্তার ৪

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

আশুলিয়া থেকে ঈশ্বরদী গিয়ে ধর্ষণের শিকার ২ তরুণী, গ্রেপ্তার ৪

ঢাকার আশুলিয়া থেকে পাবনা ঈশ্বরদীতে দুই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন। আজ রোববার সকালে ভুক্তভোগী দুই নারী ঈশ্বরদী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার চার ব্যক্তিসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। 

গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের শেখপাড়া এলাকায় কৃষি খামারের পাশে একটি আখখেতের ভেতর এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। মামলার দায়ের পর পুলিশ দুই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মুলাডুলি লক্ষ্মীকোলা গ্রামের বাকি বিল্লাহর ছেলে আল আমিন (২৫), একই গ্রামের নায়েব আলী সরদারের ছেলে মহিদুল সরদার (৩৫), নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম গোপালপুরের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুর রশীদ (৩৫), ও রাজাপুরের চাঁন মিঞার ছেলে জাবেদ (৩৫)। জড়িত আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী দুই তরুণীর মধ্যে একজনের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলায় ও অন্যজনের ঢাকার আশুলিয়ায়। তারা দুজনই পোশাক কারখানার কর্মী। আশুলিয়ার ওই তরুণীর (২৫) সঙ্গে ইমোতে পরিচয় হয় অভিযুক্ত ও গ্রেপ্তার যুবক আল আমিনের। আল আমিনের বাড়ি পাবনা ঈশ্বরদীতে। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে আল আমিন ওই তরুণীকে ঈশ্বরদীতে ডাকেন। সেই আমন্ত্রণে ভুক্তভোগী দুই তরুণী গতকাল শনিবার বিকেলে আশুলিয়া থেকে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় পৌঁছায়। সেখানে পৌঁছানোর পর আল আমিন তাঁর কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় ভুক্তভোগী দুজনকে বিভিন্ন খানে ঘোরায়। পরে রাত ৮টার দিকে ভুক্তভোগীদের কৌশলে মুলাডুলি কৃষি খামারের নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় আল আমিন ও তাঁর বন্ধুরা। সেখানে নিয়ে আল আমিনসহ তাঁর বন্ধুরা পালাক্রমে তাঁদের করেন। ধর্ষণের পর জড়িতেরা দুই তরুণীকে ‘বিবস্ত্র’ অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীরা ওই অবস্থায় সেখান থেকে রাস্তায় উঠে গিয়ে মানুষের সহযোগিতা চান। এ সময় সড়কে একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক তাঁদের উদ্ধার করে নিজের বাড়ি নিয়ে যান এবং পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভুক্তভোগী দুই তরুণীকে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। 

ঈশ্বরদী থানা-পুলিশ জানায়, থানায় আনার নেওয়ার পর ভুক্তভোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আসামিদের পরিচয় সম্পর্কে ধারণা করে পুলিশ। এরপর রাতেই তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায়। 

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুই গার্মেন্টস কর্মীর বক্তব্য শুনে রাতেই মুলাডুলি, কুষ্টিয়া ও বড়াইগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় জড়ির আরও আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

ওসি আরও বলেন, ‘আজ (রোববার) সকালে ভুক্তভোগী দুই নারী থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার চারজনকে পাবনা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ 

২ সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে আগুনে প্রাণ গেল মায়ের

হত্যাচেষ্টা মামলায় সিরাজগঞ্জের সাবেক এমপি আজিজ রিমান্ডে

বড়াইগ্রামে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১৭

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রলির ধাক্কায় মোটরসাইকেলচালক নিহত

‘ঢাবি আধিপত্যের’ প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ

ইউএনওর কক্ষে জামায়াত নেতাদের মারধর, বিএনপির ৪ নেতাকে শোকজ

বার কাউন্সিলের পরীক্ষার ফি কমানোর দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের

পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হলো বিএনপি নেতার কৃষিযন্ত্র

প্রসবকালে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

ধামইরহাটে সরকারি জমির মাটি কাটায় জরিমানা