রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করায় দলের এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত শংকর ঘোষ নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
গতকাল রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালু ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দলের সভানেত্রী রাজশাহী সিটির সদ্য সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে আবারও দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাঁকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই ২২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শংকর ঘোষ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং মেয়র প্রার্থী সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে আসছেন। ফলে মহানগর ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এবং মেয়র প্রার্থীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাঁর এ ধরনের কাজ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। এ কারণে তাঁকে দলের সব সাংগঠনিক পদ ও কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হলো।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শংকর ঘোষ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। শংকর ঘোষ যে কমিটির সভাপতি ছিলেন, সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের ছোট ভাই শাহনেওয়াজ সরকার সেডু। সম্প্রতি ডাবলুর একটি আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হলে তাঁর বহিষ্কার দাবিতে সোচ্চার হন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। তখন থেকেই লিটনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে আসছিলেন শংকর ঘোষ।
বহিষ্কারের বিষয়ে কথা বলার জন্য শংকর ঘোষের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই এ বিষয়ে তাঁর মন্তব্য জানা যায়নি।