নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাসনদ, পাসপোর্ট, ভোটার তালিকা ও ফেসবুক—সবকিছুর জন্মতারিখ অনুযায়ী পপি খাতুনের বয়স ২২। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনের আগে জন্মতারিখ সংশোধন করে রাতারাতি পপির বয়স বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ বছরে।
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পপি খাতুন যেদিন সংশোধনের আবেদন করেন, তার পরদিনই বয়স বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এর দুই দিন পর রাজশাহীর পবা উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন এবং ২৯ মে নির্বাচনে জয়ীও হন তিনি।
এ নিয়ে ১১ জুন আজকের পত্রিকার অনলাইনে ‘রকেটের গতিতে বয়স বাড়িয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পপি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ঘটনার তদন্তে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (প্রবাসী ও নিবন্ধন) মো. আব্দুল মমিন সরকারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল বুধবার (১৯ জুন) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (অপারেশনস) মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। চিঠির অনুলিপি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও শাখায় দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে কমিটির সদস্যদের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ‘আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী পপি খাতুনের জাতীয় পরিচয়পত্র রকেটের গতিতে সংশোধনসহ সামগ্রিক বিষয়।’