সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৭ দিন পর অবশেষে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে নিজ গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন নাজমুল হক।
আজ বুধবার ভোরে উপজেলার চর নূরনগর গ্রামে তিনি ফেরেন।
নাজমুল হক বলেন, ‘এই আনন্দ প্রকাশ করার মতো ভাষা আমার জানা নেই। যখন জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ছিলাম, বাড়িতে কথা বলার সুযোগ শেষ হয়ে গেল, তখন মনে মনে বলতাম আর বুঝি বাবা-মায়ের মুখ দেখতে পাব না।’
নাজমুল আরও বলেন, ‘নামাজ পড়তাম আর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতাম হে আল্লাহ তুমি আমাদের সবাইকে বাবা-মায়ের বুকে ফিরিয়ে দাও। মহান আল্লাহ আমাদের কথা শুনেছেন। সবাই বাংলাদেশে এসে বাবা-মা-আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে পৌঁছে গেছি। বাড়িতে থাকব বেশকিছু দিন। হয়তো কোরবানির ঈদের পর জাহাজে উঠব।’
নাজমুলের মা নার্গিস খাতুন বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া জানাই আমার বুকের মানিককে আমার কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমার আর কোনো কিছু চাওয়ার নাই। আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে সকল মানুষ সাহায্য করেছেন, সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
এর আগে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয় এমভি আবদুল্লাহ। প্রায় এক মাস পর এমভি আবদুল্লাহসহ গত ১৪ এপ্রিল ভোরে জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হন ২৩ নাবিক। এরপর জাহাজটি পৌঁছে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে। সেখান থেকে মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরে চুনাপাথর ভর্তি করার পর চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। সব মিলিয়ে ৬৫ দিন পর মুক্ত নাবিকেরা বাংলাদেশে ফিরেছেন।
কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা বলেন, ‘আমাদের কামারখন্দে সন্তান নাজমুল নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে অবশেষে মায়ের কোলে ফিরছে। এতে আমরা সবাই আনন্দিত। নাজমুলকে দেখতে তাদের বাড়িতে যাব।’