রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় আরও নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাঁরা মারা যান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় নাটোর ও পাবনার দুজন করে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার একজন করে রোগী মারা গেছেন। এর মধ্যে পাবনার দুজন এবং রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁর একজন করে মোট পাঁচজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। কুষ্টিয়ার মারা যাওয়া রোগীর করোনা নেগেটিভ থাকলেও তিনি শারীরিক নানা জটিলতায় কোভিড ইউনিটে ছিলেন।
অন্য চারজন মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। তাঁদের নমুনা পরীক্ষা হয়নি। মৃত নয়জনের মধ্যে চারজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। এদের মধ্যে ৪১-৫০ বছর বয়সের মধ্যে দুজন করে নারী ও পুরুষ; ৫১-৬০ বছরের মধ্যে দুজন নারী এবং ষাটোর্ধ্ব দুজন পুরুষ ও একজন নারী ছিলেন।
এ নিয়ে চলতি মাসে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মোট ১৮২ জনের মৃত্যু হলো। এর আগে জুলাই মাসে ৫৩১ এবং জুনে ৪০৫ জন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার আগের ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৭ জন। ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৯ জন। হাসপাতালে করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১৮০ জন। উপসর্গ নিয়ে আছেন ৯৭ জন। এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ হলেও শারীরিক নানা জটিলতায় কোভিড ইউনিটে ভর্তি ছিলেন আরও ৬৫ জন রোগী।
হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মোট রোগীর সংখ্যা ৩৪২ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৬২ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৩ জন, নাটোরের ৫৪ জন, নওগাঁর ৩১ জন, পাবনার ৪৭ জন, কুষ্টিয়ার ১০ জন, মেহেরপুরের দুজন এবং সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও চুয়াডাঙ্গার একজন করে রোগী ছিলেন।
সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বুধবার আরটি-পিসিআর ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন মিলে জেলায় মোট ৬৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ১১১ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর শুধু দুটি আরটি-পিসিআর ল্যাবে রাজশাহীর নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার পাওয়া গেছে ২৮ দশমিক ৬২ শতাংশ।