নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
তীব্র শ্বাসকষ্ট। কিন্তু উপায় নেই। সংসারের খরচ জোগাতে নাকে অক্সিজেনের নল লাগিয়ে রাজশাহীতে রিকশা চালাতেন মাইনুজ্জামান সেন্টু। গত বছরের মে মাসে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল সেন্টুর কষ্টের জীবন। সেই সেন্টু (৫৬) গতকাল বৃহস্পতিবার মারা গেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর হেতেম খাঁ বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁকে হেতেম খাঁ কবরস্থানে দাফন করা হয়। সেন্টু স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
সেন্টুর মেয়ে আঁখি খাতুন জানান, তাঁর বাবা সেন্টু দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। হার্ট, ফুসফুস নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা ছিল তাঁর। সেন্টু গত ১৬ দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তিনি মারা যান।
রিকশাচালক সেন্টুকে নিয়ে গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে বিষয়টি সবার নজরে আসে। এরপর বিভিন্ন ব্যক্তি, সামাজিক সংগঠন, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের পক্ষ থেকে সেন্টুর চিকিৎসার খরচ বহন করা হয়।
সেন্টুর বসবাসের জায়গা না থাকায় তাঁর নামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দেন জেলা প্রশাসক। এরপর পবা উপজেলার বড়গাছিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে স্ত্রী চম্পা বেগমকে নিয়ে বাস করতেন তিনি।