চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সুমিষ্ট আমের। এসব আম পরিচর্যায় এখনো ব্যস্ত সময় পার করছেন আম চাষি ও বাগান মালিকেরা। তবে এখনো পরিপক্ব হয়ে ওঠেনি আমের আঁটি। ফলে আম পাকতে অন্তত আরও ১৫দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বাগান সংশ্লিষ্টরা।
এ দিকে কৃষি বিভাগ বলছে, গাছে পাকা আম দেখা দিলেই নামাতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের সুবিধা দিতেই দেওয়া হয়নি আম পাড়ার ক্যালেন্ডার।
আজ রোববার কয়েকটি বাগান ঘরে দেখা গেছে, বাগানে থোকায় থোকায় দুলছে গোপালভোগ, খিরসাপাতি, ল্যাংড়া, ফজলি, আশ্বিনা, বারি-৪, আম্রপালি, ব্যানানা, ডকমাই, চাকতাসহ হরেক জাতের আম। আমের আকার এখন নজর কাড়ার মতোই। গুটি থেকে আঁটিসহ পরিপক্ব হয়ে উঠছে আমগুলো। বাগানে বাগানে বসছে আমপাড়া ও বাজারজাত করার ঘরও। শুরু হয়েছে আম পাড়া ও বাজারজাতকরণের প্রস্তুতি। চলতি বছর আমের বাম্পার ফলন হওয়ায় এ নিয়ে উৎসাহ আর উদ্দীপনার যেন শেষ নেই আম চাষি ও বাগান মালিকদের।
শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক ও আম রপ্তানিকারক ইসমাঈল খান শামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাছে এবার প্রচুর পরিমাণে আম ধরেছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কিছু আম বাজারজাত করা যাবে।’
ইসমাঈল খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড অ্যানাইট প্রডাক্ট এক্সপোটার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মাধ্যমে এবারও ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে আম রপ্তানি করার প্রক্রিয়া চলছে। জেলার সকল আম চাষিরা তাঁদের মাধ্যমে আম পাঠাতে পারবে। চলতি মৌসুমে প্রায় ১ হাজার টন আম রপ্তানি করার লক্ষ্যে আম প্রস্তুত করা হচ্ছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পলাশ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর গাছ থেকে আম সংগ্রহের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। সময় বেঁধে দিলে অনেক ক্ষেত্রে অপরিপক্ব আমও পাড়া হয়। তবে আম ক্যালেন্ডার না থাকলেও অপরিপক্ব আম বাজারজাতের বিষয়টি কঠোরভাবে নজরদারিতে রাখা হবে। এমনকি এ নিয়ে কৃষকদের সচেতনও করা হয়েছে।’