জয়পুরহাটে নিজ ঘর থেকে এক বৃদ্ধের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম সৈয়দ আলী আকন্দ (৭০)। জেলার কালাই উপজেলার শিকটা গ্রাম থেকে আজ শুক্রবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের তাঁর দুই ছেলে ও তাঁদের স্ত্রীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্বজনদের দাবি, তাঁর বাবার বিছানার পাশে একটি বাক্সে ধান বিক্রির আট লাখ ছিল। সেই টাকা চুরি করা হয়েছে।
নিহত সৈয়দ আলী আকন্দ কালাই উপজেলার পনুট ইউনিয়নের শিকটা উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত মোতারাজ আলীর ছেলে। তাঁর তিন ছেলে এবং দুই মেয়ে। বড় ছেলের নাম তৈয়ব আলী, মেজো ছেলের নাম নাজমুল এবং ছোট ছেলের নাম মাহমুদুল। আর বড় মেয়ের নাম তাহেরা এবং ছোট মেয়ের নাম নাজমা।
স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, স্ত্রী মৃত্যুর পর থেকে সৈয়দ আলী আকন্দ একাই এক বাড়িতে বাস করতেন। বড় ও মেজো ছেলে তাঁদের পরিবারকে নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকেন। ছোট ছেলে থাকেন ঢাকায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বড় ছেলের বাড়িতে খাবার খেয়ে সৈয়দ আলী নিজের ঘরে চলে আসেন। আজ শুক্রবার সকালে তাঁর বড় ছেলে তৈয়ব আলী বাবার সঙ্গে দেখা করতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা। আর তাঁর বাবার গলাকাটা মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। তার পাশে থাকা বাক্স খোলা অবস্থায় পড়ে আছে।
নিহতের মেজো ছেলে নাজমুল জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ বিঘা জমিতে ধান আবদ করেন। এছাড়া গোয়ালে আটটি বিদেশি গরু রয়েছে। এসব থেকে যা আয় হতো সেই টাকা কখনও ব্যাংকে রাখতেন না। চলতি বছর সেই জমির আমন ধান বিক্রির প্রায় ৮ লাখ টাকা ওই বাক্সে রেখেছিলেন। এ ছাড়া সেখানে জমির কাগজপত্রও ছিল। যেগুলো পাওয়া যায়নি।
নাজমুল আরও জানান, তাঁর বাবার সঙ্গে কারও শত্রুতাও নেই। তা সত্ত্বেও কেন তাঁকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা জানা নেই।
মেঝো মেয়ে নাজমা বেওয়া জানান, তাঁর বাবার হত্যাকারী যে বা যারা হোক, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের শনাক্ত করে বিচার দাবি জানান তিনি।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা তাঁকে পরিকল্পিত হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
সৈয়দ আলী আকন্দ হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের দুই ছেলে ও তাঁদের স্ত্রীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, পরে বিস্তারিত বলা যাবে।