নাটোরের লালপুরে উত্ত্যক্তের অভিযোগে মামলা করায় স্কুলছাত্রীর মা-বাবাকে মারধরের করেছে আসামিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ের বাবা (৪০) তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হন অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে কিশোরীর মাকেও মারধর করা হয়।
ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন উপজেলার অর্জুনপুর-বরমহাটি (এবি) ইউনিয়নের মো. মসলেম উদ্দিন (৪২) ও তাঁর ছেলে মো. রিয়াদ হোসেন (২২)। আজ শুক্রবার বিকেলে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মো. শুভ ইসলাম (২০) নামের এক যুবক ছয় মাস ধরে কিশোরীকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। এতে চার মাস ধরে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় গত সোমবার এই ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মো. শুভ ইসলামকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর থেকে আসামি শুভ মেয়েটির পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
এর জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে মেয়ের বাবা তারাবির নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে শুভ ও তাঁর লোকজন হাঁসুয়া, লোহার রড, কাঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠি নিয়ে পথরোধ করেন। এ সময় তাঁরা হাঁসুয়া দিয়ে কিশোরীর বাবার মাথায় কোপ দেন। একপর্যায়ে কিশোরীর মা এগিয়ে এলে তাঁকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. সুরুজ্জামান শামীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রীর বাবার মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
মেয়েটির বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, উত্ত্যক্তের কারণে কোনো ছাত্রীর বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ রয়েছে, এমন তথ্য জানা নেই।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক জানান, স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগে করা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।