আব্দুলপুর থেকে পার্বতীপুর অভিমুখে একটি লেভেল ক্রসিংয়ে তিনজন গেটম্যান নিয়োগের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিয়োগ দেওয়ার চার বছরেও নির্মাণ করা হয়নি গেট ও গ্যাটম্যানের থাকার ঘর। ফলে দায়িত্ব পালনে প্রতিনিয়তই বিপাকে পড়ছেন নাটোরের বাগাতিপাড়া সদর ইউনিয়নের ঠেঙ্গামারা রেলগেটে থাকা ওই তিন গেটম্যান।
জানা গেছে, আব্দুলপুর থেকে পার্বতীপুর অভিমুখে বাগাতিপাড়া অংশে পাঁচটি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে মালঞ্চি লেভেল ক্রসিংয়ে আগে থেকেই গেটম্যান, গেট ও তাঁদের থাকার ঘর ছিল। আর বাকি চারটিতে কোনো গেটম্যান ছিলেন না। প্রায় ছয় বছর আগে ইয়াছিনপুর রেলগেটে পারাপারের সময় ট্রেনের ধাক্কায় ভটভটির দুর্ঘটনায় নববধূসহ চারজন নিহতের ঘটনা ঘটে। এরপর ২০১৮ সালে স্বরূপপুর, ইয়াছিনপুর ও বড়পুকুরিয়া রেলগেটে গেটম্যান নিয়োগের পাশাপাশি গেট ও তাঁদের থাকার ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ঠেঙ্গামারা রেলগেটে আফসার উদ্দিন, রিয়াজুজ্জামান ও সাইফুল ইসলামকে গেটম্যান নিয়োগ দেওয়া হলেও গেট ও তাঁদের থাকার ঘর নির্মাণ করা হয়নি।
আরও জানা গেছে, ওই লেভেল ক্রসিংয়ে গেটলকের ব্যবস্থা না থাকায় ট্রেন আসার সময় রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ ও যানবাহন থামাতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় গেটম্যানদের। এ ছাড়া শীত, রোদ, ঝড়-বৃষ্টি এবং রাতে ডিউটি পালন করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাঁদের।
গেটম্যান আফসার উদ্দিন বলেন, এই গেট সম্পর্কে অনেকবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। এখানে নানা রকম ঝুঁকি নিয়ে ডিউটি করতে হয়। এ ছাড়া ঝড়-বৃষ্টির দিনে সীমাহীন কষ্ট করতে হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাবাসীর সহায়তায় কয়েকটি বাঁশের খুঁটির ওপর মাত্র সাতটি টিন দিয়ে একটি ঘর করা রয়েছে। তাতে কোনো বেড়া নেই। বাঁশের বাতা দিয়ে একটি মাচাং করা। সেটিই তাঁদের ডিউটি ঘর।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি এখানে যোগদান করেছি। ওই গেট সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। বিষয়টি সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।