অনেক সময় পকেটে মাদকদ্রব্য ঢুকিয়ে দিয়ে পুলিশ মামলা করে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। রাজশাহীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে বলে অভিযোগ ওঠে। তবে রাজশাহী নগর পুলিশের (আরএমপির) নতুন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেছেন, ‘পকেটে মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে কোনো মামলা হবে না। কেউ যদি সত্যিই মাদকসহ ধরা পড়ে, তাহলে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় পুলিশ মামলা করবে। এর ব্যতিক্রম ঘটবে না।’
আরএমপিতে যোগ দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে নিজের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। সভায় সাংবাদিকেরা আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গটিও তখন উঠে আসে।
এ সময় পুলিশ কমিশনার আশ্বস্ত করে বলেন, সীমান্তবর্তী এই জেলায় মাদকের আগ্রাসন আছে। পুলিশ মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘মাদকদ্রব্য দিয়ে কোনো মানুষকেই হয়রানি করা হবে না। কেউ এ ধরনের কাজে জড়িত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে আরএমপি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবে উল্লেখ করে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ দমনের লক্ষ্যে আরএমপির সিআরটি বো বোম্ব ডিসপোজাল টিমকে আধুনিক প্রশিক্ষণ ও উন্নত সরঞ্জামে আরও শক্তিশালী করা হবে।’ অপরাধ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কমিউনিটি ও বিট পুলিশিংয়ের কার্যক্রম জোরদার ও গতিশীল করার ইচ্ছার কথাও জানান পুলিশ কমিশনার।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আরএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) বিজয় বসাক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক অ্যান্ড ডিবি) সামসুন নাহার প্রমুখ। এ ছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমের স্থানীয় প্রতিনিধিরা মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।