শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শেরপুরে ছুরিকাঘাতে এক যুবক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আদনান হাবিবকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় শেরপুর পৌর শহরের বারদুয়ারীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে আহত যুবকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত আলাল শেখ (৩৫) শহরের উত্তর সাহাপাড়া এলাকার আফজাল শেখের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। অভিযুক্ত আদনান হাবিব শহরের শান্তিনগর এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ শুক্রবার সকালে আদনান রেজিস্ট্রি অফিস মোড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বাজার করতে যান। তিনি রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল রাখলে রিকশাচালক আলাল তাঁকে সরে যেতে বলেন। এতে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আদনান তাঁর কাছে থাকা একটি ছুরি দিয়ে আলালের পেটে আঘাত করেন। স্থানীয়রা আলালকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। এর মধ্যেই এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে আদনানকে মারধর করেন। ভয়ে তিনি দৌড়ে পালিয়ে একটি মুদির দোকানে আশ্রয় নেন।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন জিহাদী, বগুড়ার শেরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরিন, শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জনগণকে শান্ত থাকার জন্য মাইকে ঘোষণা দেন। এর মধ্যেই সহকারী পুলিশ সুপার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বরাত দিয়ে জানান আলাল মারা যাননি। তিনি সুস্থ আছেন। এই খবরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ আদনানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি রেজাউল করিম বলেন, আহত আলাল শেখ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আদনানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।