বগুড়ায় মরদেহ গোসল করানোর সময় নড়ে ওঠার খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। জীবিত নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্বজনেরা তাঁকে দুটি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে নিশ্চিত করেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বগুড়া শহরতলির বেতগাড়ি দক্ষিণপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত গৃহবধূর নাম মনিরা খাতুন (৩৫)। তিনি বেতগাড়ি দক্ষিণ পাড়ার আলম হোসেনের স্ত্রী।
মনিরা খাতুনের মামা ফজলুল করিম বলেন, মনিরা খাতুনকে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে ১৮ মার্চ সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৭টার দিকে চিকিৎসক মনিরাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে মরদেহ বাড়িতে নেওয়া হয়। সকাল ৯টার দিকে গোসল করানোর সময় মরদেহ নড়ে ওঠে বলে পরিবারের সদস্যকে জানান গোসলের কাজে নিয়োজিত নারীরা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে ভিড় জমান।
ফজলুল করিম আরও বলেন, মনিরাকে জীবিত ভেবে নিয়ে যাওয়া হয় শজিমেক হাসপাতালে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু স্বজনদের অনুরোধে নিয়ে যাওয়া হয় কার্ডিওলজি বিভাগে। সেখানে আবারও পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করা হয়। এতেও স্বজনদের সন্দেহ হলে নিয়ে যাওয়া হয় বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণার পর মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিকেলে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, মনিরা খাতুনকে হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করার পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্বজনেরা আবারও নিয়ে আসেন। তাঁদের অনুরোধে জরুরি বিভাগ এবং কার্ডিওলজি বিভাগে পরীক্ষা করা হয়। তবে জীবিত থাকার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।