সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের ভদ্রঘাট ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাজিবুল হাসানকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে। বালুর ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৬ জানুয়ারি এই হামলার ঘটনা ঘটলেও গতকাল শুক্রবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫–৭ জনের নামে কামারখন্দ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ছাত্রদল নেতা রাজিবুল হাসান।
অভিযুক্তরা হলেন—ভদ্রঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী, তাঁর ছেলে বাপ্পি শেখ, আবদুল মান্নানের ছেলে মো. রঞ্জু ও সোহেল রানা, কাশেম মণ্ডলের ছেলে ইয়াসিন, আবদুস সামাদের ছেলে জুয়েল, লিটন শেখের ছেলে টুটুল ও জালাল শেখের ছেলে রাকিব।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আসামি ও মামলার বাদীর (ছাত্রদল সভাপতি) বাড়ি পাশাপাশি গ্রামে। পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে বিএনপি নেতা হায়দার আলী ও তাঁর লোকজন ১৬ জানুয়ারি রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে রাজিবুল হাসানের বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে আসামিরা রাজিবুলকে পিটিয়ে আহত করেন এবং ঘরে প্রবেশ করে নগদ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যান।
গতকাল ভুক্তভোগী রাজিবুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, ‘ভদ্রঘাট ইউনিয়নের ঝাটিবেলা এলাকায় কিছু বালু ছিল। সরকার বালুগুলো নিলামে বিক্রি করলে আমি ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা দিয়ে কিনি। বালু বিক্রির সময় হায়দার আলী ও তাঁর লোকজন এসে বাধা দেয় এবং আমার ওপর হামলা চালায়। তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী আজাদ, আসাদুল ও রাঙার বালু বিক্রির দায়িত্ব নিয়েছে। যে কারণে আমাকে বালু বিক্রি করতে বাধা দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে হায়দার আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। হামলার সঙ্গে আমি জড়িত না। ছাত্রদল নেতা সোহেলের ওপর আগে হামলা করেন রাজিবুল হাসান। পরে সোহেলের লোকজন রাজিবুল হাসানের ওপর হামলা করেন। আমার ওপর মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।’
ভদ্রঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামাদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বালুর ব্যবসা নোংরা ব্যবসা। আমি বিএনপির নেতা–কর্মীকে বালুর ব্যবসায় যেতে নিষেধ করেছিলাম। সিনিয়র নেতাদের অনেকেই এর সঙ্গে জড়িত। তবে ছাত্রদল নেতাকে হামলার ঘটনার সঙ্গে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জড়িত না। বিষয়টি উপজেলা বিএনপির নেতাদের জানানো হয়েছে।’
কামারখন্দ থানার ওসি মোকলেসুর রহমান বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।