নাটোরে ধর্ষণ মামলার পৃথক দুটি ধারায় সাইফুল ইসলাম (৪৬) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন ও ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একটি শেষ হলে আরেকটির সাজা ভোগ শুরু হবে।
আজ সোমবার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই টাকা ভুক্তভোগী নারীকে প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৮ অক্টোবর বাগাতিপাড়ার তৎকালীন ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা একটি আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে রাত্রিযাপন করে।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে ইউপি সদস্য। পরে চাকরি খোঁজার নাম করে সেখান থেকে পালিয়ে যান আসামি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাড়িতে ফিরে একই বছরের ২০ অক্টোবর বাদী হয়ে সাইফুলের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি ধারায় মামলা করেন।
দীর্ঘ ২০ বছর পর আজ (সোমবার) আদালত ধর্ষণ মামলার একটি ধারায় সাইফুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পাশাপাশি নারী ও শিশু নির্যাতনের আরেকটি ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আদালতের পিপি আনিসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড শেষ হওয়ার পর ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড শুরু হবে বলে বিচারক আদেশ দিয়েছেন। জরিমানার ৩০ হাজার টাকা ভুক্তভোগী পাবে।’