বগুড়ার গাবতলী উপজেলা প্রকৌশল অফিসের কর্মচারীদের মারধর ও পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের দুজন নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলেও দুই দিনে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আসামিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা বলছে, আসামিরা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন—গাবতলী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজামাল শাজাহান ও গাবতলী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিলু। গত বৃহস্পতিবার গাবতলী উপজেলা প্রকৌশল অফিসের হিসাব সহকারী রাজ্জাকুল হায়দার বাদী হয়ে ওই দুই নেতার নামে গাবতলী মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলা বলা হয়েছে, গত বুধবার বেলা তিনটার দিকে ওই দুই নেতা ১০-১২ জন কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা প্রকৌশল অফিসে যান। তারা একটি প্রকল্পের ফাইলের খোঁজ করেন। ফাইল না পাওয়াকে কেন্দ্র করে অফিসের হিসাব রক্ষক ওয়াজেদ আলী ও হিসাব সহকারী রাজ্জাকুল হায়দারকে টেনে হিঁচড়ে বারান্দায় বের করে মারধর করেন। যাওয়ার সময় তারা পেট্রল দিয়ে সবাইকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেন।
তবে এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজামাল শাজাহানের দাবি, হিসাবরক্ষক ও হিসাব সহকারী একটি প্রকল্পের কাজে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ না পেয়ে তারা ফাইল লুকিয়ে রাখে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে, মারধরের ঘটনা ঘটেনি। মামলায় বাড়িয়ে লেখা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী রাজ্জাকুল হায়দারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কয়েকবার কল রিসিভ করেননি।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে গ্রেপ্তার হয়নি। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’