পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা মানসিক হাসপাতালে শাহনাজ বেগম (৩৩) নামের এক রোগী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শাহনাজ বেগম জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা পশ্চিমপাড়া গ্রামের লাল চান মিয়ার স্ত্রী।
হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, গতকাল রোববার শাহনাজ বেগমকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর তাঁকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের জেনারেল বেডে রাখা হয়। ভর্তির পর সোমবার ভোরে তিনি তাঁর পরনের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে ওয়ার্ডের ভেন্টিলেটরের শিকের সঙ্গে বেঁধে আত্মহত্যা করেন।
ওই দিন রাতে ওই ওয়ার্ডে কর্মরত নার্স তানিয়া খাতুন বলেন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩টি বেড রয়েছে। শাহনাজ ৫ নম্বর বেডে ছিলেন। রাতে সব বেডে মশারি টানানো থাকায়, অন্যান্য রোগীর ঘুমের ফাঁকে নিজের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন শাহনাজ।
ডিউটি রুম থেকে তাঁর বেড মশারির আড়ালে থাকার কারণে তাঁকে দেখা যায়নি। পরে রাউন্ডে বের হয়ে দেখা যায়, তিনি জানালা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। কাছে গিয়ে তাঁকে বিছানায় নামাতে গেলে তাঁর গলায় কাপড় প্যাঁচানো দেখে হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
হাসপাতালের পরিচালক আবুল বাশার মো. আছাদুজ্জামান বলেন, ‘নার্সদের কাছ থেকে জানতে পেরে পাবনা সদর থানা-পুলিশকে জানানো হয়। এ ছাড়া মৃতের স্বামীকেও খবর দেওয়া হয়। তাঁরা এসে মরদেহ নিয়ে যাবেন বলে হাসপাতালকে জানিয়েছে।’
এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এরপর প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিতের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।’