কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদনশীলতা বেশি। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের প্রশ্ন, পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক কেন? পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি কেন হয়? সামনে ঈদ, ঈদের আগেই পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন।
আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে চেষ্টা করছি পেঁয়াজের দাম নাগালের মধ্যে রাখার। পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে না পারার কারণে পচে নষ্ট হয়। ঘরে রাখতে না পারায় কৃষক দ্রুত পেঁয়াজ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। তাঁদের হাতে আর কোনো পেঁয়াজ থাকে না। পরে আবার এর দাম বেড়ে যায়।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার সুজানগর উপজেলার উদয়পুর গ্রামে দুই কৃষকের বাড়িতে আধুনিক প্রযুক্তিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ পদ্ধতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ সংরক্ষণের প্রযুক্তি নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, ভোলা, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলায় ৬০টি করে পেঁয়াজ সংরক্ষণের গোডাউন ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি।’
এরপর কৃষিমন্ত্রী জেলার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামে যান। সেখানে ড্যামের নির্মিত পেঁয়াজ-রসুন সংরক্ষণের মডেল সংরক্ষণাগার উদ্বোধন করেন ও আলোচনা সভায় অংশ নেন।
সেখান থেকে জেলার সদর উপজেলার জালালপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলামের জমিতে ব্রি-৮৯ জাতের বোরো ধান কম্বাইন্ড হারভেস্টের মাধ্যমে শস্য কাটার উৎসবে অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী।
এ সময় সমন্বিত ব্যবস্থার মাধ্যমে খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষকের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টর বিতরণ করেন মন্ত্রী। বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘বিনা উদ্ভাবিত জনপ্রিয় জাতসমূহের পরিচিতি এবং বিদ্যমান শস্য-বিন্যাসে অন্তর্ভুক্তিকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী।
এসব অনুষ্ঠানে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবিরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।