হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

পুলিশ একাডেমিতে সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত, স্বস্তি পেলেন ৩৩৪ কনস্টেবল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫: ১৬
রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ১৬৭ তম টিআরসি ব্যাচের কুচকাওয়াজ। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ১৬৭তম ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভূঞা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী টিআরসিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। সমাপনী কুচকাওয়াজে ৩৩৪ জন টিআরসি অংশ নেন।

কুচকাওয়াজে সাজ্জাদুল ইসলাম (পিএ/ ৫৪৪) বেস্ট টিআরসি হিসেবে নির্বাচিত হন। এ ছাড়া বিষয়ভিত্তিক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের মধ্যে বেস্ট একাডেমিক হিসেবে সুমন আলী (পিএ/ ৫৪২), বেস্ট ইন ফিল্ড অ্যাক্টিভিটিস এবং বেস্ট শুটার হিসেবে পৌরব চন্দ্র রায় (পিএ/ ১৪৫) নির্বাচিত হন।

অনুষ্ঠানে কোর্স ডিরেক্টর পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমনসহ বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের ২৪ জুন ৩৪৪ জন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলের ছয় মাস মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০ ডিসেম্বর। আর ১৯ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু ৯ ডিসেম্বর ‘অনিবার্য কারণবশত’ এই কুচকাওয়াজ স্থগিত করে দেওয়া হয়।

গত ৩ জানুয়ারি প্রশিক্ষণরত ৮ পুলিশ কনস্টেবলকে অব্যাহতি দিয়ে একাডেমি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রশিক্ষণরত অন্য পুলিশ কনস্টেবলরাও আতঙ্কে ছিলেন। অবশেষে আজ রোববার প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ হওয়ায় তাঁরা স্বস্তি পেয়েছেন।

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর একাডেমিতে ৮২৩ জন ক্যাডেট উপপরিদর্শকের (এসআই) এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। গত ৪ নভেম্বর প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো প্রশিক্ষণ শেষ হয়নি। গত ২৬ নভেম্বর সমাপনী কুচকাওয়াজের জন্য দিন ঠিক করা হলেও পরে স্থগিত করে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে সম্প্রতি চার দফায় মোট ৩২১ জন ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সবশেষ গত ২৯ ডিসেম্বর আটজনের কাছে ব্যাখ্যা তলবের পর তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের বিরুদ্ধে নাশতা না খেয়ে বিশৃঙ্খলা এবং প্রশিক্ষণ চলাকালে হইচই করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ব্যাচে এখন ৫০২ জন এসআই ‘টিকে আছেন’।

এদিকে ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর ৪০তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ৭১ জন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই প্রশিক্ষণ এখনো শেষ হয়নি।

রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ১৬৭ তম টিআরসি ব্যাচের সমাপনীতে পুরস্কার নিচ্ছেন এক সদস্য। ছবি: আজকের পত্রিকা

গত ২০ অক্টোবর এএসপিদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগের রাতে হঠাৎ করে এই পাসিং আউট অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেওয়া হয়। এরপর ২৪ নভেম্বর আবারও সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের দিন ঠিক করা হলেও ১৮ নভেম্বর স্থগিত করা হয়। এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর ব্যাচের ৭১ এএসপির মধ্যে ২৫ জনের কাছে কৈফিয়ত তলবের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ‘প্যারেডে দৌড় না দিয়ে এলোমেলোভাবে হাঁটার’ অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁদের জবাব দিতে তিন দিন সময় দেওয়া হয়। এএসপিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই লিখিত জবাব দিয়েছেন। তাঁদের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

একাডেমিতে মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে পুলিশ সদস্যরা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত হন এবং মাঠপর্যায়ে কাজের সুযোগ পান। এরও এক বছর পর তাদের চাকরি স্থায়ী হয়। প্রশিক্ষণের মেয়াদ শেষেও প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়ার এমন নজির পুলিশ একাডেমিতে এবারই প্রথম। প্রশিক্ষণ চলাকালেও একটি ব্যাচ থেকে ৩২১ জন এসআইকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনাও নজিরবিহীন।

রাবির হল থেকে পোড়া কোরআন উদ্ধার, তদন্তে কমিটি

সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা মন্টু আর নেই

ভাঙ্গুড়ায় গভীর রাতে বসতবাড়িতে আগুন, ঘুমন্ত অবস্থায় বৃদ্ধের মৃত্যু