বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের পরিবার দায় স্বীকার করে বিয়ের জন্য সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আজ বুধবার আদালতে অভিযুক্তের নামে শিশু ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার বলছে, উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউপির শোনপচা চরের শোনপচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। শোনপচা পশ্চিম আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে শাহাদৎ হোসেন প্রামাণিকের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের বাড়ি একই গ্রামে এবং পাশাপাশি। কয়েক দিন আগে অভিযুক্ত শাহাদৎের বিয়ে ঠিক হয় দিনাজপুরের রানীশংকৈল উপজেলার অন্য একজনের সঙ্গে। বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী বুঝতে পেরে তাঁর আত্মীয়স্বজনের কাছে শাহাদৎের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক এবং অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানায়। এ সময় এলাকায় জানাজানি হলে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে শাহাদৎের পরিবার নানা ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই তারা আদালতে মামলা দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বড় বোন সামিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার ছোট বোন শাহাদৎের সঙ্গে ওর প্রেমের সম্পর্ক এবং অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি আমার কাছে নিশ্চিত করেছে।
অন্তঃসত্ত্বা ওই শিক্ষার্থী জানায়, ‘শাহাদৎের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। তার মাধ্যমে আমি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছি। এখন শাহাদৎ আমাকে বিয়ে করতে চাইছে না। শাহাদৎের অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়েও ঠিক হয়েছিল। আমি সেই মেয়ের নানাকে আমাদের সম্পর্কের বিষয়টি বলে দেই। পরে ওই বিয়ে কোনোরকম স্থগিত হয়। এখন শাহাদৎ আমাকে বিয়ের নামে নানা ধরনের টালবাহানা করছে। আত্মহত্যা ছাড়া আমার কোনো পথ খোলা নাই।’
এদিকে শাহাদৎের মা সালেহা বেগম বলেন, ‘যেহেতু আমার ছেলে একটি অঘটন ঘটিয়েছে, তাই ওই মেয়ের সাথে আমি আমার ছেলের বিয়ে দিতে রাজি আছি।’
শিক্ষার্থীর দুলাভাই শহিদুল হোসেন বলেন, ‘শাহাদৎ ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে আমার শালীকে নামমাত্র বিয়ে করতে চাইছিল। বিয়েতে সে নাকফুল, শাড়ি কিছুই কেনেনি। যেহেতু শাহাদৎ বিয়ের নামে নানা ধরনের টালবাহানা শুরু করেছে, তাই আমি এখন আইনের আশ্রয় নিয়েছি। শাহাদৎের নামে বগুড়া জজকোর্টে বুধবার সকালে শিশু ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছি।’
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন দিপন বলেন, ‘যেহেতু বিষয়টি এখন আদালতে গিয়েছে, তাই আদালতের মাধ্যমেই এর একটা সমাধান হবে।’