নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী মহানগরীর হোসনীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা বিউটি বেগমকে (৫১) হত্যার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাসায় চুরি করতে গিয়ে দেখে ফেলায় বিউটিকে হত্যা করা হয় বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ওই তরুণ।
গ্রেপ্তার তরুণের নাম ওমর ফারুক মৃদুল (২১)। তিনি হোসনীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। নিহত বিউটি ছেলে আবদুল কাদেরের সঙ্গে বসবাস করতেন। ছেলের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দোকান আছে। যেদিন বিউটি হত্যার শিকার হন, সেদিন তাঁর আলমারি ভেঙে সাড়ে তিন লাখ টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। ছেলে কাদেরের ব্যবসায়িক কাজের টাকা ছিল এসব।
বিউটি হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছিল। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামি মৃদুলকে শনাক্ত করে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা-পুলিশ। পরে গতকাল সোমবার ভোরে বরিশালের মুলাদী থানার চরকালেকা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাজশাহী এনে আজ মঙ্গলবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম জানান, গত ১১ মার্চ রাতে বিউটির বাড়ি ফাঁকা দেখে মৃদুল দেয়াল টপকিয়ে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় কাদেরের মা চলে আসায় মৃদুল খাটের নিচে লুকিয়ে পড়েন। এরপর কাদেরের মা ঘুমিয়ে পড়লে মৃদুল আলমারি খোলার চেষ্টা করেন। এই শব্দে কাদেরের মা জেগে উঠে পাইপ দিয়ে মৃদুলকে আঘাত করার চেষ্টা করেন। তখন মৃদুল তাঁকে ধাক্কা দিলে খাটের সঙ্গে লেগে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এরপর মৃদুল আলমারির তালা ভেঙে টাকা নিয়ে চলে যাওয়ার সময় দেখেন, কাদেরের মা তাকিয়ে আছেন। এ সময় তাঁর গলায় একটা কাপড় পেঁচিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়।
রফিকুল আলম আরও জানান, আদালতে হাজির করা হলে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন মৃদুল। আদালত ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। এরপর আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।