বগুড়ায় আদালতে যাওয়ার পথে তিন মোটরসাইকেল আরোহী শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও ছাত্রদলের সাবেক নেতা আব্দুল বারী ওরফে চাঁন মিয়াকে (৪০) কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাঁকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বগুড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
চাঁন মিয়া বগুড়া শহরের চক ফরিদ কলোনি এলাকার মৃত কবেজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি বগুড়া জেলা জজ আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শজিমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘চাঁন মিয়ার মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বাসা থেকে আদালতে যাওয়ার পথে বগুড়া শহরের চক ফরিদ মাটির মসজিদ এলাকায় মোটরসাইকেলে করে অজ্ঞাত তিন দুর্বৃত্ত পেছন থেকে কুড়াল দিয়ে চাঁন মিয়ার মাথায়, ঘাড়ে ও হাতে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
চাঁন মিয়াকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী রুনা আকতার বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের নামে বগুড়া সদর থানায় মামলায় দায়ের করেন। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাঁন মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পরপরই একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হলেও জড়িতদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’