হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

দীর্ঘদিন পর এলাকায় কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা, স্থানীয় বিএনপিতে বিভেদ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  

প্রকাশ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২১: ৩৭
এলাকায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন কনকচাঁপা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপাকে নিয়ে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে বিএনপিতে বিভেদ দেখা দিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে কাজীপুরে আসেননি কনকচাঁপা। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ (কাজীপুর) আসন থেকে তাঁকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। কিন্তু তিনি কাজীপুরে ঢুকতে পারেননি। দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানেরমুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে কাজীপুরের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন কনকচাঁপা। কাজীপুর উপজেলা বিএনপির একটি অংশ এখন কনকচাঁপার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের মতে, দল ও নেতা–কর্মীদের দুঃসময়ে কনকচাঁপার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি যোগাযোগ বন্ধ রেখেছিলেন।

২০১৩ সালের ১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ৬৯ তম জন্মদিনে গুলশানে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় প্লেব্যাক শিল্পী কনকচাঁপা। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাজীপুর (সিরাজগঞ্জ–১) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান। আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর কনকচাঁপা আর কাজীপুরে আসেননি।

২০২০ সালের ১৩ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর উপ–নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনীত পান বর্তমান কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা। সেলিম রেজাই কাজীপুর বিএনপির হাল ধরে রেখেছেন।

দীর্ঘ দিন পর গত ৩ জানুয়ারি কাজীপুরে আসেন কনকচাঁপা। তিনি কাজীপুর উপজেলার সোনামুখী, মাইজবাড়ি, ঢেকুরিয়া বাজারে জনসংযোগ করেন। ৪ জানুয়ারি কাজীপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। তবে তাঁর সঙ্গে কাজীপুর উপজেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির কেউ ছিলেন না।

তবে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, কাজীপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক তরফদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ইমরুল কায়েস সবুর উপস্থিত ছিলেন।

কম্বল বিতরণকালে কনকচাঁপা বলেন, ‘আমার শৈশব কেটেছে এই কাজীপুরের মাটিতে। এই জন্মভূমিতে মিশে আছে আমার বাপ–দাদার স্মৃতি। আজও পরিবার–পরিজন নিয়ে এই মাটিতে বসবাস করছে আমার আপন ভাই তরু মোর্শেদসহ আত্মীয়স্বজন। মাইজবাড়ির পৈতৃক বাড়িটি যমুনায় বিলীন হওয়ায় আমাকে লক্ষ্মীপুরে ভাইয়ের বাড়িতেই উঠতে হয়। আমি মনে করি, মাইজবাড়ির প্রত্যেকটি বাড়িই আমার বাড়ি। কাজীপুরে আমার নিজ নামে কোনো বাড়ি নেই। তাই আমি দ্রুত কাজীপুরবাসীর পাশে থাকার জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করব।’

কনকচাঁপার কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে সঙ্গে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান। তিনি বলেন, ‘কনকচাঁপা এসেছিলেন, আমরা তাঁকে সহযোগিতা করেছি। দলের ভেতর দ্বন্দ্ব হলে তারাই (অপরপক্ষ) করেছে। কনকচাঁপা বিএনপি করেন। এজন্য আমরা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছি।’

এলাকায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন কনকচাঁপা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘদিন পর কনকচাঁপার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার বিষয়ে কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা কারো বিরোধিতা করছি না। তবে সত্য হলো, বিএনপি এবং দলের দুঃসময়ে কনকচাঁপা দলীয় নেতা–কর্মীদের পাশে ছিলেন না। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। দলীয় নেতা–কর্মীরা তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ। ২০১৮ সালে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলেও কাজীপুরে ঢুকতে পারেননি। এখন সুসময়ে তিনি কাজীপুরে এসেছেন। তবে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।’

এ বিষয়ে মন্তব্য চাইতে কনকচাঁপার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল দেওয়া হলে রিসিভ করেন তাঁর স্বামী। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি কনকচাঁপাকে ফোন দিতে রাজি হননি। পরে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে সংযোগ কেটে দেন কনকচাঁপার স্বামী।

বিএমডিএ পিডি লাঞ্ছিত, নেপথ্যে ১৯ কোটির ‘ভাগ’

মিলেমিশে যমুনার বালু লুট বিএনপি-যুবলীগ নেতার

‘আল্লাহ যেখানে রাখে ভালোই রাখে’ আদালত থেকে বেরিয়ে সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকু

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার