নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করার দাবি উঠেছে।
আজ শনিবার রাজশাহীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এ দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ড, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ’৭১ ও রাজশাহী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এ কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচিতে বক্তারা শাহরিয়ার আলমকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে দ্রুত তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, `বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল আওয়ামী লীগের পরিশ্রমী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। বাঘা দলিল লেখক সমিতির কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় তাঁর। এর মূল পরিকল্পনাকারী শাহরিয়ার আলম। তাঁকে রাজশাহীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাবুল হত্যার বিচার চাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পাশাপাশি শাহরিয়ার আলমের দ্রুত বহিষ্কার চাই।'
বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র হিসেবে রাজশাহীর উন্নয়ন করছেন। তা দেখে ঈর্ষান্বিত শাহরিয়ার আলম তাঁর বিরুদ্ধে ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। দলের একটি উপজেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে শাহরিয়ার আলম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত ধৃষ্টতাপূর্ণ। এর জন্য তাঁর শাস্তি হওয়া অবশ্যই উচিত।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রাজশাহী মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ডা. আব্দুল মান্নান মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, আবুল বাসার, আবুল হাসান খন্দকার, এন্তাজুল হক বাবু, সাইফুল ইসলাম, ইয়াসিন আলী, মতিউর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২২ জুন গুরুতর আহত হন আশরাফুল ইসলাম বাবুল। ২৬ জুন তিনি মারা যান। ২৭ জুন বাবুলের জানাজায় এমপি শাহরিয়ার আলম দাবি করেন, সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ ও বাঘা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু এ হত্যাকাণ্ডে মদদ দিয়েছেন।