নাটোর আদালতের মালখানা থেকে প্রায় ৬১ লাখ টাকা, ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার, ১৯ কেজি রুপাসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের কাছ থেকে জব্দ করা প্রায় ৩৭ লাখ টাকাও রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চুরির এ ঘটনা ঘটে।
চোরেরা মালখানার বিভিন্ন কক্ষের দরজা ও জানালার লোহার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে। চুরির আগে আদালতের হাজতখানা, মালখানাসহ আশপাশে থাকা সিসি ক্যামেরাগুলোর ডিভাইস খুলে নিয়ে যায় তারা।
আজ শুক্রবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) আমজাদ হোসাইনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আদালতের মালখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকালে আদালতে এসে দেখি, আমার কক্ষের জানালার গ্রিল ভাঙা। বিষয়টি সহকর্মীদের জানাই। পরে একে একে আরও কয়েকটি কক্ষের দরজা ও জানালার গ্রিল ভাঙা দেখতে পাই। মালখানার তালাও ভাঙা অবস্থায় ছিল। সেখানে রাখা সিংড়া থেকে উদ্ধার করা প্রায় ৩৭ লাখ টাকাও খোয়া গেছে।’
পরে আজ সন্ধ্যায় নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, চুরি হওয়া টাকার পরিমাণ বেড়ে ৬১ লাখ হয়েছে। এ ছাড়া স্বর্ণালংকার ১৬ ভরি ও ১৯ কেজি রুপা খোয়া গেছে।
এসপি আমজাদ হোসাইন বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে আপাতত তাঁদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, মালখানায় রাখা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও রুপার কিছু গয়না খোয়া গেছে, যা বিভিন্ন মামলার আলামত হিসেবে ছিল। সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ ডিভাইসও চুরি হওয়ায় তদন্তে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’