বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের বাণিজ্য ও মানুষের যাতায়াত আরও বাড়াতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও রহনপুর রেলওয়ে শুল্ক স্টেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ডা. বানশিধর মিশ্র। সোমবার বন্দর ও শুল্ক স্টেশন পরিদর্শনকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই দিনের সফরে এসে ডা. বানশিধর মিশ্র সকালে সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও বিকেলে রহনপুর রেলওয়ে শুল্ক স্টেশন পরিদর্শন করেন এবং বন্দরর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। ভারতের মহদিপুর ও সিংগাবাদ বন্দরও ঘুরে দেখেন নেপালের রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, নেপালের পূর্ব ও দক্ষিণ অংশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কাছে। এই দুই দেশের বাণিজ্য এবং মানুষের যাতায়াত কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য তিনি পরিদর্শনে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নেপালের বাণিজ্য রয়েছে। নেপাল কেন এই বন্দর ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য করবে না।
পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দীন আহমেদ শিমুল, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব আল রাব্বীসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তারা।
এর আগে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে মতবিনিময় করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বনশ্রিধর মিশ্র। রোববার সন্ধ্যায় শহরের একটি হোটেলে চেম্বারের সভাপতি মো. এরফান আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের সচিব মিসেস রিয়া সেটি, দ্বিতীয় সচিব মিস্টার রঞ্জন যাদব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চেম্বারের সভাপতি মো. এরফান আলী। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সহসভাপতি মনোয়ারুল ইসলাম ডালিম, পরিচালক কবিরুল ইসলাম খান, মাইনুল ইসলাম, বাহরাম আলী, শাজাহান আলী, উজারের তপন, মো. মালেক, এম কোরাইশি মিলু, শহীদুল ইসলাম শহীদ, রুহুল হুদা পলাশ।
নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বনশ্রিধর মিশ্র বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে নেপালের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। বাংলাদেশের সরকারি নেপালের বাণিজ্য স্থলবন্দরের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে আগামীতে আরও বেশি গভীর হবে। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীতে একটি উন্নয়নশীল দেশ। এ দেশের অর্থনীতি বিশ্বে অবদান রাখছে। বাংলাদেশের যে কোনো বিপদের সময় নেপাল এবং নেপালের বিপদের সময় বাংলাদেশ সহায়তা করে থাকে।