বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাহিম রহমানকে (২৮) ছুরিকাঘাতের ঘটনায় বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে সোনাতলা উপজেলা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ফাহিম ও তাঁর বন্ধুরা শজিমেক কলেজের দুই নম্বর গেটে ঝাল মুড়ি খেতে যান। সেখানে দোকানি ফরিদ ব্যাপারীর সঙ্গে ফাহিমের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় ঝাল-মুড়ি বিক্রেতার ছেলে শাকিল পেঁয়াজ কাটা চাকু দিয়ে ফাহিমের পেটে আঘাত করেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বুধবার রাত ৯টার দিকে মেডিকেলের সামনে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ জড়িতদের রাতেই গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয়। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে মেডিকেল কলেজের দুই নম্বর গেটের বিপরীতে নতুন রাস্তায় বসা ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শজিমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান।
বগুড়া শজিমেক শাখা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইন্টার্ন চিকিৎসক মোফাজ্জল হোসেন রনি জানান, ফাহিমের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। আজ বৃহস্পতিবার ফাহিমের জ্ঞান ফিরলেও ৭২ ঘণ্টা পার না হলে কিছু বলা যাবে না।