নবান্ন উৎসব মানে নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে পাওয়া চালের প্রথম রান্নার আয়োজিত উৎসব। এই উৎসবে মেয়ে-জামাই ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনকে বাড়িতে নিয়ে এসে বাহারি পিঠা-পায়েসসহ নানা রকমের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া নবান্ন উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ হলো হরেক রকম মাছের রান্না।
বগুড়ার নন্দীগ্রামে নবান্ন উপলক্ষে বিভিন্ন হাট-বাজারে বসেছে ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা। পঞ্জিকা অনুসারে আজ বৃহস্পতিবার পয়লা অগ্রহায়ণ হওয়ায় এই এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নবান্ন উৎসব পালন করছেন। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বসেছে মাছের মেলা।
সরেজমিন উপজেলার রণবাঘা ও ওমরপুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে সারি সারি মাছের দোকান। সেখানে থরে থরে সাজানো রুই, কাতলা, মৃগেল, চিতল, সিলভার কার্প, বিগহেড, আইড়, বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ। আর লোকজন ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে কিনছেন এসব মাছ। কোনো কোনো মাছ বিক্রেতা বিশালাকৃতির মাছগুলোর মাথা ওপরে তুলে ধরে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণেরও চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে মাছ বিক্রেতা মিন্টু মিয়া বলেন, 'নবান্ন উৎসব ঘিরে বড় বড় মাছ বাজারে বিক্রি করতে এনেছি। আমার দোকানে এবার ৮-১০ কেজি ওজনের বিগহেড মাছ রয়েছে। এ ছাড়া বড় বড় রুই ও কাতলা মাছ আছে।'
উপজেলার নাগরকান্দি গ্রামের মাছের ক্রেতা উত্তম কুমার সরকার বলেন, 'আমি কাতলা মাছ ৩৫০ টাকা, বিগহেড ৩০০ টাকা ও রুই ৩৫০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। এবার বাজারে চিতল, আইড় ও বোয়াল মাছ তেমন নাই।'
মাছ কিনতে আসা মুনসুর আলী বলেন, 'হিন্দুদের এই নবান্ন উৎসব উপলক্ষে বাজারে বড় বড় মাছ আসে। আমি ১০ কেজি ওজনের একটি বিগহেড মাছ কিনেছি। বিগহেড, সিলভারকার্প, রুই, কাতলাসহ সব ধরনের মাছের দাম বেশি।'